রাগিণীরা
১.
বাসস্টপ আর
শিরদাঁড়া, দাঁড়িয়ে থাকলে বোঝা যায়, কিছু আছে
তারা বন্ধু নয়
যদিও অপেক্ষার
ভেতরে তারা ধরে রাখতো, ফেলে দিতনা, একটি
কিশোর ছেলেকে
ফুল আর আকাশেরও
কিছু আছে, রঙ আছেনা?
আকাশ ঝুঁকে দেখছে
ফুল
ফুল মাথা উঁচিয়ে
দেখছে
আকাশ
আর রঙের অধিকার
নিয়ে চলে যাচ্ছে রুবি রায়, মনে পড়ে...
২.
হাঁস অত ওড়েনা,
পঞ্চম উড়িয়ে দিল, কোথায় যে গেল
সেই ওড়া ধবধবে
হাঁস
জলে পড়ার শব্দ
মেখে, জলকে চলার আধার নিয়ে
পঞ্চম বলল, ফিরে
এসো
অনুরাধা ফিরে এসো
হাঁসের নাম
অনুরাধা হয়না, হাঁস কিরকম একট হাসি দিল যে
সন্ধ্যা নামলো
আউট্রামে
৩.
হাসতে হাসতে ডুবে গেল, মাঝি, নৌকো, রাজেশ খান্না
আর শর্মিলা ঠাকুর, কে বাঁচাবে
মাঝিই যখন....
যারা দেখছিল তারা দেখল যে, লন্ঠন কেউ জ্বালালো, আর
কে যেন দুলিয়ে দিল নৌকো
চাঁদ গাঁথছে তখন, টানা টানা ব্রীজ, হাওড়ার...
৪.
কাল যে আসবে, সেও চলে যাবে, দেখছি হেলান দিয়ে। আমাদের বাঁদিকে
তোমাদের ডানদিকে পরিবহন-ই-পরিবহন। ধুলোকে মলাট ক’রে রোদ আজ
চেপে ডাকল, মাম! খুলে ডাকল, মনিকা....ও আবার সেবেস্টিয়ানের বন্ধু, আজ
বড়দিন। প্যান্ড আকাশে, দূরনবিশী ভালবাসায় , আজো বড়দিন এলে ‘ট্রি’
শব্দটাই ঝাউকে ডাকে, দেখছি হেলান দিয়ে, কাল আসছে। আজ যে চলে যাবে
কাল যে আসবে, সেও চলে যাবে, দেখছি হেলান দিয়ে। আমাদের বাঁদিকে
তোমাদের ডানদিকে পরিবহন-ই-পরিবহন। ধুলোকে মলাট ক’রে রোদ আজ
চেপে ডাকল, মাম! খুলে ডাকল, মনিকা....ও আবার সেবেস্টিয়ানের বন্ধু, আজ
বড়দিন। প্যান্ড আকাশে, দূরনবিশী ভালবাসায় , আজো বড়দিন এলে ‘ট্রি’
শব্দটাই ঝাউকে ডাকে, দেখছি হেলান দিয়ে, কাল আসছে। আজ যে চলে যাবে
৫.
যে পশম শীতের উপোষে নলেনাভিরাম, কাল সেই শীতে আমি সদর খুলে দেবো।তুমি হবে, জাস্ট তুমি। একছড়া আলোয়, একহারা আলয় আমার। তাতে ফুটিফাটা পাখি, পখিদের মানো বা না মানো, শোনাবেই
যে পশম শীতের উপোষে নলেনাভিরাম, কাল সেই শীতে আমি সদর খুলে দেবো।তুমি হবে, জাস্ট তুমি। একছড়া আলোয়, একহারা আলয় আমার। তাতে ফুটিফাটা পাখি, পখিদের মানো বা না মানো, শোনাবেই
যেন আর গানই হবেনা, একদিন পাখি উড়ে গেলে
শীত তুলোটে
শীত, ফিরে আসবে না ব’লে, ফিরে এল
এই পশমে
এই উপোষে
এই নলেনাভিরামে
এই পশমে
এই উপোষে
এই নলেনাভিরামে
ছিটকিনি
খুলছে আকাশ, আলোয় আলয় দেখিয়া...
৬.
এসেই শাঁওন হল, শ্রাবণ। টিনের চালে শব্দ হয়, এলে
ঢাল
নেমে যায়, তাই জল এক মুসাফিরি করে, কাজ করে
দুপাট্টাগুলোয়, চোখগুলোয়
কাজের দাগ
অমানুষিক পরিশ্রমের দাগ মুছে দেয় শাঁওনরা
নেমে যায়, তাই জল এক মুসাফিরি করে, কাজ করে
দুপাট্টাগুলোয়, চোখগুলোয়
কাজের দাগ
অমানুষিক পরিশ্রমের দাগ মুছে দেয় শাঁওনরা
ল্যাণ্ড-স্লাইড
ল্যাণ্ড-স্লাইড দিতে দিতে
ফেরার সময় শাওন র ফলা লাগিয়ে
কিছু জিজ্ঞেস
করে
কি করেনা
কে ব’লবে?
সেই কি ব’লবে আবার, যে ভাদ্রকে ভাদোঁ বলেছিল
বলেছিল, শাঁওন ভাদোঁ দুই বোন
একজন এলে, আরেকজন চলে যায়
কি করেনা
কে ব’লবে?
সেই কি ব’লবে আবার, যে ভাদ্রকে ভাদোঁ বলেছিল
বলেছিল, শাঁওন ভাদোঁ দুই বোন
একজন এলে, আরেকজন চলে যায়
৭.
মুট্ করে ভেঙে দিল, ভোরোচ্ছটা
তিলমাত্র সন্দেহ নেই ভোর হল, তুমি হলে না
ঝিলিক রোদের, মিশ্রমাপা চোখ কেচে দিল
মন, উদাসীনতামূলক বাংলায়
যে আকাশ হবে কাশের নীলছবি সেখানেই উড়ছে
পাখিরা
নথ্ হয়ে, নাকছাবি হয়ে
দেরি এক কিন্তুপাখি, বিলম্বে কাতার, তার কাছে
শান্টিং-এর রঙ ওড়া ওড়া
ক্লান্ত ছিল
ভোর তার কাছেই ফেটে গেছে আর সন্দেহ নেই
সব ঠিকঠাক আছে
তুমি ছাড়া...
৮.
তন্ময় আর মণ্ময় গীতিকবিতা সান্যালের কাছে এল
ধর্ম রেখেই
ধর্ম কি স্ত্রী লিঙ্গ, ধর্মের?
অরুণোদয় ক্লাবে আজ কেউ নেই
না তন্ময়, না মণ্ময়।
গীতি ফার্স্ট হাফে, কবিতা সেকেণ্ড হাফে গোল করল
ক্লাবে আজ আনন্দ, আজ অরুণের চাঁদ উঠেছে, তন্ময়ধর্মী
তা দিচ্ছে তারা, মণ্ময়ধর্মী
সান্যালের, মানে ধ্রুপদ সান্যালের সান্যালের মেয়ে গীতিকবিতার কাছে
তন্ময়, ভ্যান গঘ
আর মণ্ময় থিও, তাদেরও কিছু দাও গীতি ডার্লিং...
No comments:
Post a Comment