প্রতিবিম্ব
কেঁপে ওঠে
১
শান্ত
দীঘির জলে আনমনে ঢিল ছুড়েছিলে
সেই
থেকে বুকে ক্ষত নিয়ে শুয়ে আছি জলতল
ক্ষতের
নিকটবর্তী ছোটো ছোটো বৃত্তগুলি গাঢ়
দূরত্ব
বাড়লে ক্রমে ফিকে হয়ে আসে
লোকে
বলে নিস্তরঙ্গ ডোবা
অপেক্ষার
রংগুলি আঘাত সম্বল করে যেরকম অদৃশ্যমান
জলে
জমে থাকে
২
আমার
আদিম ক্ষত যে ব্যথার জন্ম দিয়েছিল
সেই
ব্যথা কালসাপ আমাকে কেটেছে
নিজের
পাপের বিষ ওঝা হয়ে ঝাড়ি
রোজ
রাতে নিজস্ব গোপনে
৩
শূন্য কবিতার
খাতা বালিশের নীচে রেখে শুই
নিশ্চুপ
অক্ষরগুলো শুশ্রূষা দেয় সারারাত ধরে
এত
কথা তুমি তো জান না
নতুন লেখার
স্বপ্নে ঘুম নেই তোমার দু-চোখে
আমিও
দীর্ঘদিন অনিদ্রায় আছি
না-লেখা
পঙ্ক্তিতে কবে আপ্রাণ নিজেকে খুঁজব সন্দেহপ্রবণ
হাহাকার
চেপে রেখে হাসিমুখে বলব, ‘বেশ ভালো’
৪
দূরত্বে
ঘনত্ব বাড়ে, এই বাক্য সারসত্য নয়
কোনো
কোনো দূরে যাওয়া অতিক্রমযোগ্যতা হারায়
যেটুকু
যা অন্ধকার লেগে থাকে আঁচলের গিঁটে
তাহাকে
অতীত বলা হয়
৫
সম্পর্ক
বলতে এই শুধু কিছু জমা অন্ধকার
অপমান মেখে মেখে কবে যেন সাদা হয়ে গেছে
এত সুন্দর লেখা ! কম লেখেন কেন? আপনার অনেক লেখা পড়তে চাই।
ReplyDeleteধন্যবাদ। পড়াতে পারলে আমারও খুব ভালো লাগবে।
Deleteখুব সুন্দর । প্রতিটি পঙ্ক্তি ঘনত্ব ছাড়িয়ে কেলাসিত হয়ে উঠেছে যেন!
ReplyDeleteএকজন বৈজ্ঞানিকের মতো মন্তব্য। অজস্র ধন্যবাদ সিদ্ধার্থদা।
Deleteএত ভালো লেখা! বুক মুচড়ে কান্না এনে দিল। আপনার পত্রিকা, প্রকাশনা, বই, এবং সর্বোপরি আপনার ব্যক্তিত্ব, সবকিছুরই আমি মুগ্ধ অনুরাগী। আজ আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধতা শতগুণ বেড়ে গেল। দূর থেকে শ্রদ্ধা জানালাম।
ReplyDeleteআমি সমৃদ্ধ হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন। কিন্তু এত আড়াল কেন?
Deleteকোনও বানানো কথা নয়,শুধু বলি মুগ্ধ, মুগ্ধ ,মুগ্ধ
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
Delete