খুঁজুন। ক্লিক করুন। টাইপ করুন।

8.7.18

গুচ্ছ কবিতা স্রোতস্বিনী চট্টোপাধ্যায়





আস্ফালন

ঝোড়ো বাতাসের রাত
নারকোল পাতায় এক বিন্দু জল নড়ে উঠল
তার কাছ ঘেঁসে উড়ে বেড়াচ্ছে
একটি মাত্র জোনাকি

তাকে দেখে মনে হয়,
এই জীবন প্রচুর অমৃত পান করেও আমৃত্যু
                          শুধু চেয়ে থাকতে শিখেছে হরিদ্রাভ মৃত্যুর দিকে

এর বেশি যা কিছু  তা সমস্তই
অভাগার গল্প,  নিত্যদিনের


সহপাঠী – ১

দু একটি কথার পরিবর্তে তুমি আমায় কি দিতে পারো?

অস্তমিত সূর্যের আভায়
দল থেকে ছিটকে যাওয়া পাখির উড়ে আসা পালক
আমায় প্রতিশ্রুতি বদ্ধ করে না
এমনকি চুড়ন্ত সঙ্গম কালে মৃত প্রিয় মুখ
আমার নিছকই সাদা বলে মনে হয়

এমন অভিসম্পাতের পাশে
তুমি নির্ভয়ে এসে বসে থেকো মাঝেসাঝে
আমি দু দন্ড ভাল থাকব নিশ্চয়


অকাল বর্ষণ

আকাশ জুড়ে মেঘের ঘনঘটা
তার ভিতর দিয়ে দুটি পাখি উড়ে যাচ্ছে দূরে
যেন ভিজে যাওয়া ছাড়া
তাদের সমস্ত লক্ষ্য বিফলে চলে গেছে

এই অনাবশ্যক মেঘে
ধানের শিষের মতো লেগে আছে
শেষ বিকেলের আলোর বিন্দু
পাখি দুটির সেটাই পাথেয়

সহপাঠী- ২


ঘরে ফেরার রাত মনে পড়ে না
কেননা, চুম্বনের ঘোর এখনও কাটেনি

আকাডেমির পিছনে ঝিল পার ঘেসে কুয়াশা নামলে
আমরা একে অপরের হাতে হাত রেখে
                        কি সব যেন আওড়ে যাই... 
ওদের প্রতিজ্ঞা ভেবো না
ওরা আমাদের জন্মাতর 

একবার সাহস করে দেখো,
মাটি আর আকাশের মাঝে কি অপুর্ব এক সেতু
রাস্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে

অনন্ত এক  মধ্যরাতে সহপাঠি
আমরা কি পালিয়ে যাব না কখনো?

কুয়াশার ভিতর কুয়াশায়
আগুনের ভিতর পোশাক খুলে রেখে
স্মৃতি তৈরি করো সহপাঠি

শীতের মতো কোনও প্রিয়জনের দু’চোখে ভয়াবহ অপরাধী হয়ে থাকি আমরা! 












1 comment:

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"আমি বিদ্রোহী নহি, বীর নহি, বোধ করি নির্বোধও নহি। উদ্যত রাজদণ্ডপাতের দ্বারা দলিত হইয়া অকস্মাৎ অপঘাতমৃত্যুর ইচ্ছাও আমার নাই। ক...