খুঁজুন। ক্লিক করুন। টাইপ করুন।

8.7.18

তিনটি কবিতা অর্ণব রায়







আমাদে যথাসাধ্য সন্ন্যাস

এই আনন্দ উৎসবে আলোকোজ্জ্বলে
শিশুটির হাত ধরে আমি
ভাষার দোরগোড়া ছাড়লাম

লতানো কব্জিটি ধরে
শুধুমাত্র খসখসে ঘামাচির স্পর্শ
আমার ইতিহাস ভেঙে আসছে

এই আনন্দোৎসবে আলোক উজ্জ্বলে
তাকে মাটি থেকে কোলের দূরটুকু আর
তোলা যায় না  

এই ভোজবাড়ি, কথা, অলংকারের চাপ,
শিশুটির হাত, যদি পাই, খসখসে হাত ধরে
লেখার দোরগোড়ায়
সমস্ত সন্ন্যাস নামিয়ে গেলাম

সকাল আমাদের শিশুরা

মনের দয়া মনে শুকায় মানুষ
নুলো ভঙ্গীতে প্রায়রাত তার বিছানায়
এপাশ ওপাশ করে,
সকাল না হতে ছুট্টে রাস্তায় বেরিয়ে আসে
জগতের সামনে পলকা পাঁজর খুলে জুড়োতে চায়

কারা এই দৃশ্যে এক দুটো থোকায় শিশুদের ফেলে রেখে গেছে!
আজ  যে তারা খেলাধুলার নামে সারিসারি ফুলের ঘন্টা বাজাবে
আর পাতা ভাঁজ করে বাঁশিতে দেবে ফুঁ,
আজ  যে তাদের সারাদিন মেলা!

শিশুদের যা যা দেখার নয়, ঠিক ঠিক তা দেখে ফেলে তারা
নিজেদের পিঠের ওপরে একখানি করে পার্ক গজিয়ে নিয়ে
এক একটি নিজস্ব সকালে মিলিয়ে যাচ্ছে

নদীর পাশে বসত

আজ সকাল, এই বাস্তব থেকে বাটিভর্তি টাটকা ভাত
উপচে আসছে জানলা দরজা দিয়ে,
রোজ রোজ নিজের ডাক ফেরি করতে আসা ফেরিওয়ালাটি
গোটা পরিবারের ক্ষুধা নামিয়ে রেখে যাচ্ছে।
মানুষ আর কতদূর পাঠ করতে পারে?
বিকেল হয়, আলো নিভে আসে,
পিতৃপুরুষ গৃহদেবতা ভুলে গিয়ে, ওগো বৃদ্ধাটি
নিজের নামের দোহাই পেড়ে দুটো চারটে ভিক্ষে চায়।

নদীর পাশে বসত করে তবে এই হল!
ঘুম নেই ক্ষিধে নেই, ঘড়ির মাপে আর আঁটে না সময়,
শুধু দুঃখের স্রোত, শত শত বাড়ির উঠোন ধুয়ে আসে
শুধুই কান্না চাপতে থাকা, যার এমনকি বাড়িটুকু নেই—

বাড়িগুলি বন্ধ দ্বীপ, পাশের রাস্তা গলিগুলি দুঃখের নদী—
এই কথাটুকু বলতে গিয়ে
গোটা শহর দুহাত বাড়িয়ে ভেসে গেল


2 comments:

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"আমি বিদ্রোহী নহি, বীর নহি, বোধ করি নির্বোধও নহি। উদ্যত রাজদণ্ডপাতের দ্বারা দলিত হইয়া অকস্মাৎ অপঘাতমৃত্যুর ইচ্ছাও আমার নাই। ক...