খুঁজুন। ক্লিক করুন। টাইপ করুন।

9.7.18

গল্প সৌমেন চট্টোপাধ্যায়







গিরগিটি

ওয়াড্রোব থেকে অফিসের জন্য নির্দিষ্ট পোশাকটা বের করে আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালো নেহাআজ অফ হোয়াইট শার্ট আর ব্লু স্যুট কাল পর্যন্ত  ছিল সাদা শার্ট,  গ্রে স্যুট । তাদের কোম্পানিতে রুল মেইনটেইন করা হয় খুব কঠোর ভাবে । যদিও প্রতি দু’দিন অন্তর এই পোশাকের রঙ পরিবর্তন  নেহার বেশ ভালো লাগে । নেহার প্রোমোশন হয়েছে মাসতিনেক আগে । চিফ একজিকিউটিভ পদের দায়িত্ব অনেক । তার ওপর অনেকখানি নির্ভর করছে  কোম্পানির ভবিষ্যৎ । এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে তার এই উন্নতি সহকর্মীদের মনে জ্বালা ধরালেও নেহা ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করছেকানাঘুষো অনেক গল্প ছড়াচ্ছে এখানে ওখানে সে বেশ ভালোই জানে । কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার মিঃ সান্যাল কাজের মানুষ । কে কিভাবে কাজ করছে তা তিনি দেখতে চাননা । তার লক্ষ্য হল কাজটা শেষ করা । মিঃ সান্যালের বয়স কম , কোম্পানির এতো বড়ো পোষ্টে চাকরি এবং সুদর্শন বলেই হয়তো দুই এ দুই এ চার করে নিচ্ছে সকলে । এসবে পাত্তা না দিয়ে নেহা নিজের কাজ করতে  শিখে গেছে । আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাল্কা লিপস্টিক আর তার সঙ্গে ম্যাচিং ঘড়ির বেল্ট ও ম্যাচিং সানগ্লাসে নেহা নিজেকে আরোও উজ্জ্বল করে তুললো   মিঃ সান্যাল কি তাকে সত্যিই পছন্দ করেন ! গত বুধবার বোর্ড মিটিং এর আগে রাখীর বলা কথা গুলো কানে বাজছিল, ‘ মিঃ সান্যাল দেখছি তোর  প্রেমে একেবারে হাবুডুবু খাচ্ছেন’।  হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল নেহা । সুদর্শন অল্পবয়েসী ডেপুটি ম্যানেজার সুন্দরী  চিফ এক্সিকিউটিভকে দ্রুত বড়ো কোনও কাজের দায়িত্ব দিচ্ছেন মানেই  একে অপরের প্রেমে  হাবুডুবু খাবে এটা হয় না । বোর্ড মিটিং এর  দায়িত্ব সে নিজের যোগ্যতায় পেয়েছেরাখী কি তাহলে তাকে হিংসা করে? হিংসা করাটা অবশ্য আশ্চর্যের নয় । একই সঙ্গে চাকরিতে জয়েন করে একজন যদি প্রমোশন পেয়ে যায় তাহলে তো প্রফেশনাল জেলাসি হবেই । নেহা এগুলোকেও এড়িয়ে যেতে শিখছে । সে নিজে আপ্রাণ চেষ্টা করবে নিজের যোগ্যতা দেখিয়ে কোম্পানিতে কাজ করতে । কারোর দয়া তে নয় ।  আয়নার দিকে তাকিয়ে আর একবার টানটান করে নিজেকে গুছিয়ে নিল নেহা । অফিসের গাড়ি আসবে ঠিক নটা বেজে দশে । দেরী হলে কারোর জন্য  অপেক্ষা করবে না । কোম্পানির স্ট্রিক্ট রুল । ছোট্ট ব্যাগটা হাতে নিয়ে নেহা সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলো । তাদের বাড়ির সামনে পর্যন্ত গাড়ি আসতে পারে না । তাই একটু হেঁটে আসতে হয়বাড়িটা  রাস্তার একদম শেষে । একটা পাক খেয়ে এসে বড় রাস্তায় পড়েছে । এর মাঝে পরপর চারটে বাড়ি । নেহাদের বাড়ি থেকে তিন নম্বর বাড়িটা পর্যন্ত খুব জোরে হেঁটে এসে হাঁফিয়ে গেল একটু । হাঁফানির টানটা এই সময় খুব বাড়ে তার  । সিজন চেঞ্জের আগে প্রতিবার এমন হয় নেহার । হাল্কা শীতের আমেজ  রয়েছে বাতাসে । তার মাঝেই দুপুরের দিকে গরম বাতাস এসে ধাক্কা দেয় জানালার পর্দায় । এসির নিয়ন্ত্রিত উষ্ণতা ভেদ করতে না পারলেও নেহা বুঝতে পারে এই সময়টা তার জন্য ভালো নয়হাল্কা শীত আর হাল্কা গরমের কারণে  হাঁফানির কষ্টটা বাড়ছে কিছুদিন ধরেব্যাগ থেকে একটা চুইং গাম বের করে মুখে রাখল নেহা । হাতঘড়িতে দেখল গাড়ি আসতে এখনও মিনিট তিনেক বাকি । নেহা ধীরে ধীরে হেঁটে চার নম্বর বাড়িটার কাছে পৌঁছে গেলগাড়ি এসে এখানেই দাঁড়াবে একেবারে রাস্তা লাগোয়া এই বাড়িটাকে দেখে  খুব হিংসে হয় বহুদিনের শখ একটা গাড়ি কেনার । কিন্তু বাড়িটা গলির মধ্যে হওয়ায় সেই সাধ পূর্ণ করতে পারেনি বাড়িটার দিকে মুখ তুলে  তাকালো নেহাসবুজে সবুজ গোটা বাড়িটা এতো গাছ একটা বাড়ির মধ্যে থাকতে পারে বাড়িটা না দেখলে বোঝা যায় না । রেলিং দেওয়া গেটের ফাঁক থেকে ভিতরটা দেখা যায় । ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে পুরো উঠোনটাতন্ময় হয়ে ফুলের দিকে তাকিয়ে ছিল নেহা  গাড়ির শব্দে সচকিত হয়ে পা বাড়াতেই গিরগিটিটা একেবারে কাঁধে এসে ধপ করে পড়ল , প্রচন্ড চমকে লাফ দিলো নেহা । গিরগিটিটাকে গা থেকে  ঝেড়ে ফেলতে ঝাঁকানি দিলো জোরে । মাটিতে পড়তেই প্রায় ঘন সবুজ রঙটা কেমন ধীরে ধীরে ধূসর হয়ে গেল । প্রাণ ভয়ে প্রাণীটা ছুটে গিয়ে গাড়ির চাকার ওপর সড়সড় করে উঠে এলো । নেহা একটু অন্যমনস্ক হয়ে গাড়িতে উঠে বসল হাওয়া আসবে বলে কাঁচটা তুলে দিতে গিয়ে দেখল গিরগিটিটা মুখ বাড়িয়ে আছে তার দিকে । কেমন ফ্যাকাসে মতো দেখতে লাগছে । নেহা দ্রুত কাঁচটা তুলে দিল ।
‘গিরগিটিকে দেখলেও চিনতে পারবেন না ম্যাডাম , পাতার ফাঁকে লুকিয়ে থাকবে এমন রং পাল্টে  যে বুঝতেই পারবেন না । হঠাৎ লাফিয়ে এসে ঘাড়ে পড়বে আপনার’
 নেহার উদ্দেশ্যে কথা গুলো বলেই গাড়ির স্পীড বাড়িয়ে দিল চন্দন ।
‘তাই তো দেখছি চন্দন । পাতার ফাঁকে লুকিয়ে ছিল মনে হয় । ঘাড়ের ওপর এসে পড়ল আর মাটিতে পড়তেই কেমন রং বদলে ফেললো’
‘সেটাই তো বলছি ম্যাডাম , রং বদল করতে এরা ওস্তাদ । এই জন্য এদের বহুরুপী বলে’
আজ গাড়িতে নেহা একা । এই গাড়িতে মোট চারজন ওঠে । নেহা ওঠে সব শেষে । বাকিদের মধ্যে  সুতনুর আজ  অফ ডে , রাখী আগে থেকেই ছুটিতে আছে আর ড্যানিয়েল নামের নতুন যে ছেলেটি  জয়েন করেছে ট্রেনি এক্সিকিউটিভ হিসেবে তার আজ থেকে স্পেশাল ট্রেনিং শুরু হচ্ছে কোম্পানির ব্যাঙ্গালোরের অফিসে ।
‘ম্যাডাম আপনি তক্ষক দেখেছেন ? খানিকটা এই গিরগিটির মতোই’
চন্দনের প্রশ্নে নেহা হাসল । কপালের ওপর নেমে আসা চুল গুলো সরাতে সরাতে উত্তর দিল ,  ‘না চন্দন সামনে থেকে তক্ষক দেখার সুযোগ হয়নি কখনও । খবরের কাগজের ছবিতে দেখেছি । খুব নাকি দাম । লুকিয়ে পাচার করে’
চন্দন সারাক্ষণ বকবক করতে করতে গাড়ি চালায় । অন্য দিন রাখী তাকে সঙ্গ দেয় । আজ কেউ নেই বলে তাকেই পেয়েছে আর পেয়েছে ঐ গিরগিটিটাকে ।  গাড়ি চালাতে চালাতে কোথায় কতরকমের গিরগিটি , টিকটিকি , তক্ষক , কুমির দেখেছে এসব বলে যেতে লাগলো । নেহা কিছুটা শুনলো কিছুটা হুঁ হাঁ দিয়ে চালিয়ে দিল । । নেহা ঘড়ি দেখল । ন’টা চল্লিশ । আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে পৌঁছে যাবে ।
একেবারে অফিসের গেটের মুখে এসে সজোরে ব্রেক কষল চন্দন ওভার কনফিডেন্স দেখানোর জন্য এই কাণ্ডটা সে রোজ করে ।  কিছুতেই তার আগে গাড়ি স্লো করবে না । এমনিতে চন্দনের গাড়ি চালানোর হাত বেশ ভালো । কিন্তু এইভাবে গেটের মুখে এসে সজোরে গাড়ির ব্রেক কষা তার রোজকারের অভ্যেস । একরাশ বিরক্তি নিয়ে নেহা গাড়ি থেকে নামলব্যাগটা কাঁধে নিয়ে অফিসের গেটের সিঁড়িতে পা রাখতে গিয়ে থমকে গেলতাদের কোম্পানির লোগোটা উজ্জ্বল লাল রঙ এ আঁকা । চারিদিকে শ্যাওলা সবুজ রং এর আস্তরণ ।  ঠিক তার ওপর বসে রয়েছে একটা গিরগিটি । ঘাড়ের কাছটা সবুজ আর  লালের মিশ্রণে অদ্ভুত লাগছে   বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে ঘাড় কাত করে । রঙ পাল্টে ফেলছে সেকেন্ডের মধ্যে । নেহা নাম না জানা  আতঙ্কে কেঁপে উঠল । গিরগিটিটা  নেহা কে দেখে দু’ বার মাথা নেড়ে সড়সড় করে দেওয়ালের গা বেয়ে নেমে গেল রাস্তায় ।

ঢকঢক করে জলের বোতল থেকে ঠান্ডা জল গলায় ঢাললো নেহা । হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো । আট’টা ছুঁইছুঁই ।  তিনজন সহকর্মী না আসায় তাদের  কাজের সব চাপটা আজ তার ওপর দিয়ে গিয়েছে । মিঃ সান্যাল ছাড়া আর মাত্র দুজন রয়েছে পুরো অফিসে । নেহার চেম্বারটা বাইরে থেকে দেখা যায় না । তবে ভিতর থেকে সে সব কিছু নজর রাখতে পারে  এই মাত্র মিঃ সান্যাল উঠে গেলেন  অফিসের মধ্যে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ । স্মোকিং জোনে গিয়ে সিগারেট খেতে হয় । নেহার সোজাসুজি উল্টোদিকে বসে আছেন পাবলিক রিলেশনসিপ ম্যানেজার মিঃ দাস ,  আর একেবারে বাঁ দিকের কোণে একটা সোফায় বসে আছেন মিঃ ত্রিবেদী । বসে বসে ঢুলছেন । অফিসের চাবি তার কাছেই থাকে । তাই মিঃ ত্রিবেদীর ছুটি হয় সবার শেষে । মিঃ দাস উঠে পড়লেন । নিজের পার্সোনাল গাড়িতে আসা যাওয়া করেন । বেশিরভাগ দিন অফিসে আসেন না । বাইরে বাইরেই কাজ বেশি । নেহা আবার ঘড়ি দেখল । সওয়া আট । এই বার উঠতে হবে । মিঃ সান্যাল চেম্বারে ফিরে এলেই উঠে পড়বে । চেয়ারে বসে বসে ঘাড়টা একবার ডান দিকে একবার বাঁ দিকে ঝাঁকিয়ে নিল । মাথাটা দপদপ করছে সেই বিকেল থেকে । তার সঙ্গে হাঁফানির টানের জন্যও কষ্ট পেয়েছে খুবহাত দুটো মাথার ওপর তুলে শরীরটা টানটান করে  চোখ বন্ধ করলো নেহা । চোখ বন্ধ করেই রইলকতক্ষণ যে এই ভাবে ছিল তার মনে নেই । কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিল  হঠাৎ দুটো  হাত স্পর্শ করলো তাকে । কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের ওপর কালো পর্দা নেমে এল । দুটো হাত নীচের দিকে নেমে গেল সড়সড় করে । পেটের কাছে এসে হাতড়াতে লাগল কোনও বিশেষ জায়গা।   আরোও দুটো হাত বুকের ওপর লাফিয়ে নামলখামচে ধরলো তার স্তন । ঠোঁটের ওপর নেমে এলো তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ । সিগারেটের গন্ধে মাথাটা দপদপ করে উঠল নেহার । মুখটা বেঁধে দিচ্ছে বুঝতে পেরে ঝটকা মেরে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেই গলায় চাপ অনুভব করল নেহা গায়ের যতটুকু জোর আছে সবটুকু দিয়ে ছিটকে উঠে দাঁড়াল। একটানে চোখের বাঁধন খুলে ফেলতেই  চমকে গেল সবার মাঝে রাখীকে দেখে হতবুদ্ধি হয়ে গেল সুতনু ড্যানিয়েলের আজ তো বাইরে থাকার কথা। মিঃ সান্যাল স্মোকিং জোন থেকে কখন এসেছেন সে বুঝতেই পারেনি।
নেহা সবটুকু বুঝে ওঠার আগেই রাখী হো হো করে হেসে উঠল, ‘কেমন চমকে দিলাম বল? এই তো  খুব ভালো ফুটিয়ে তুললি রোলটা তবে যে বলছিলিস তুই নাটক করতে পারবি না। তোর অভিনয় একেবারে ন্যাচারাল। সুতনু অ্যান্ড ড্যানিয়েল বোথ ইউ আর রকিং , খুব সুন্দর হয়েছে সবটুকু। নেহা প্লিজ নাটকের শেষ দৃশ্যে মলেস্টেশনের এই রোলটা এই ভাবেই উতরে দে। তোর রিহার্সাল লাগবে না জানি। প্লিজ প্লিজ ...’

নেহা ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে ফিরে এল। পুজোয় কোম্পানির তরফে নাটক হবে । তারই প্রস্তুতি চলছে দিন কয়েক ধরেতাকে যে  রোলটা করতে হবে সেটা  একজন অফিস স্টাফের যে কোনও এক কলিগের হাতে মলেস্টেড হয় নেহা গলার জন্য কিছুতেই রাজি হয়নি নাটক করতে। এখন তাকে অন্ধকারে রেখে  এইভাবে হঠাৎ রিহার্সাল করানোয় মনে মনে বিরক্ত হল খুব। মুখে যদিও হাসি রেখে রাখীর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ ইট’স ওক্কে বস, ভাবছি রোলটা করব’।
একটা হুল্লোড় উঠল অফিসের মধ্যে।
নেহা সোফার দিকে তাকিয়ে দেখল মিঃ ত্রিবেদী তখনও বসে বসে ঢুলছেন। ব্যাগটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য দু’পা এগিয়ে গেল।  হঠাৎই একটু আগে হয়ে যাওয়া রিহার্সালের হাত গুলো মনে করতে গিয়ে কেঁপে গেল ভিতর থেকে । তীব্র রাগে আর ঘেন্নায় একদলা থুতু উঠে এল মুখেসামনের মুখগুলোর দিকে তাকাতেই অবাক হয়ে দেখল কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ব্লু স্যুটটা রং পাল্টাতে পাল্টাতে মেঝের সঙ্গে  মিশে গেল ।  অফ হোয়াইট শার্ট দেওয়ালের সাদা রঙের  আড়ালে চলে যাবার আগে নেহা  মনে মনে হাত বাড়ালো গালের কাছে একটা চড় মারবার জন্য । নেহাকে আশ্চর্য করে দিয়ে বহুদিনের চেনা মুখটা ক্রমশঃ লম্বাটে হতে হতে গিরগিটির মতো হয়ে দেওয়ালের সঙ্গে মিশে অদৃশ্য হয়ে গেল চন্দনের কথা গুলো মনে পড়ে গেল নেহার । ‘গিরগিটিকে দেখলেও চিনতে পারবেন না ম্যাডাম , পাতার ফাঁকে লুকিয়ে থাকবে এমন রং পাল্টে যে বুঝতেই পারবেন না । হঠাৎ লাফিয়ে এসে ঘাড়ে পড়বে আপনার’নেহা বুঝতে পারল  কাল পর্যন্ত সাদা শার্ট আর গ্রে স্যুট পরে এসেছিল গিরিগিটিটা  আজ অফ হোয়াইট শার্ট আর ব্লু স্যুট পরে দেওয়াল বেয়ে সড়সড় করে উঠে অদৃশ্য হয়ে গেল  














No comments:

Post a Comment

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"আমি বিদ্রোহী নহি, বীর নহি, বোধ করি নির্বোধও নহি। উদ্যত রাজদণ্ডপাতের দ্বারা দলিত হইয়া অকস্মাৎ অপঘাতমৃত্যুর ইচ্ছাও আমার নাই। ক...