একটি
অকুণ্ঠ চিঠি, বন্ধুকে
শ্রীহিন্দোল ভট্টাচার্য
বন্ধুবরেষু
স্বীকৃতি,
আমাদের মিলিত কুরুক্ষেত্রে বস্তুত, পথচলতি
খাসির মাংসের দোকানে ঝুলিয়ে-রাখা মাংসপিণ্ড। আমাদের লেখালিখির এই ছোট্ট পরিসরে তুমি
যেই-না স্বীকৃতির কথা বললে, অমনি
প্রাথমিক ধারণায়, কিংবা পূর্বার্জিত অভিজ্ঞতায়, আমার অবিকল মনে এল দু'টি শব্দ : জনপ্রিয়তা এবং পুরস্কার। স্বীকৃতি, ঠিক-ঠিকভাবে
বললে কাকে বলব, সে নিয়ে আমার এখনও অবধি কোনও স্বচ্ছ ধারণা
নেই। আমি আমার কিছু অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে তোমাকেই বরং ফিরিয়ে দিতে চাই তোমার প্রশ্ন
: কাকে বলব স্বীকৃতি? এবং এই ক্ষেত্রে সিদ্ধিলাভের
কি কোনও নির্দিষ্ট ছক আছে? যদি থাকে, তবে কী সেই নীল-নকশা?
যদিও
আমার মনে হয়, এই বিষয়টা নিয়ে আমার ধোঁয়াশার অনেকটাই
নির্মাণ করে দিয়েছে '৯১-পরবর্তী এক
মেরু বিশ্বের পুঁজিবাদী অর্থনীতি; তৃতীয় বিশ্বের দেশে বাজার
আমাদের মাথায় ভরে দিয়েছে : বেস্টসেলার আর লিটারেচার আদতে সগোত্র;
অথচ যে-কোনও উন্নত দেশের দিকে তাকালেই দেখতে
পাব, সেখানে বেস্টসেলার আর লিটারেচারের মধ্যে পৃথকীকরণের একটি
ঘোষিত বন্দোবস্ত করা আছে। উপনিবেশোত্তর অর্থনীতির তাঁবেদাররা যে সুচারু উপায়েই আমাদের
বিভ্রান্ত করতে চাইবেন, তাতে আর সন্দেহ কোথায়! এবং তারই অবশ্যম্ভাবী ফল এই হয়েছে যে, 'কাদম্বরী
দেবীর সুইসাইড নোট'-ও আমাদের কাছে সাহিত্য, 'বরিশালের যোগেন মণ্ডল'-ও সাহিত্য। এবার দেখো,
বেস্টসেলারের তকমা পাওয়াটাও তো এক ধরনের স্বীকৃতি! যদিও আমরা স্বীকার করতে চাই না কিংবা ভুলে মেরেছি বিলকুল, যে, বেস্টসেলার মাত্রেই তা মধ্যমানের ---
কখনও নিম্নমানেরও, এমন-কি। তা বলে প্রকৃত লিটারেচার কি বেস্টসেলার হতে পারে না? শেকসপীয়ার-এর উদাহরণ তো আমাদের হাতের সামনেই রয়েছে।
কিন্তু সে তো ব্যতিক্রম; আর কে না-জানে : ব্যতিক্রম ব্যতিক্রমই, নিয়ম নয় কখনও। যদিও এটাও আমাদের জানা যে, ব্রিটিশ
সাম্রাজ্যবাদ তার কখনও-সূর্যাস্ত-না-হওয়া-উপনিবেশে শেকসপীয়ার নিয়ে হাজির না-হলে হয়তো এমনতর ব্যতিক্রমেরও দেখা মিলত না। যে-কারণে শেকসপীয়ার আমরা যা-না পড়েছি, তার ছিটেফোঁটাও মলিয়ের পড়িনি। লিটারেটার নিঃসন্দেহে বেস্টসেলার হতে পারে,
কিন্তু বেস্টসেলার মাত্রেই লিটারেচার নয় --- এই আপ্তবাক্য মাথায় ঠেসে এবার কথা বলতে যাও শহরের ঐতিহ্যবাহী কফিঘরে উঠতি
কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে --- ইদানীং
যার পাল্লা খুচরো কবি এবং কবি-যশোপ্রার্থীদের দিকেই বেশি ঝুঁকে --- তুমি অবধারিত শুনবে : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
নাকি জীবদ্দশাতেই প্রভূত স্বীকৃতি পেয়েছেন! কফির-কাপে-তুফান-তোলা তোমার
উলটোদিকে বসা মানুষটি, যে-কোনও লিঙ্গেরই
হতে পারেন, জানাবেন যে, 'আদর্শ হিন্দু
হোটেল' বিভূতিভূষণ-এর জীবৎকালে সর্বাধিক
বিক্রিত বই; কিন্তু বলবেন না যে, এই উপন্যাসটির জন্য অন্তত একটি পুরস্কার সংযোজিত হয়েছিল ভদ্রলোকের বায়োডাটা-য়, এবং বায়োডাটাময় ডাঁটে মানতে চাইবেন না যে,
কী পরিমাণ পড়াশোনা বিভূতিভূষণ করতেন তাঁর লেখালিখির জন্য। অথচ বিভূতিভূষণ-এর তন্নিষ্ঠ পাঠক মাত্রেই বোঝেন, 'চাঁদের পাহাড়'-'হীরামানিক জ্বলে'-'মরণের ডঙ্কা বাজে', এমন-কি 'দেবযান'-এও মানুষটার পাঠলব্ধ জ্ঞান সেঁধিয়ে আছে। এইবার আমরা আরও দুটো মাত্রা পেয়ে
গেলাম মনে হয়, যার একটির উল্লেখ শুরুতেই ছিল, পুরস্কার; আর অন্যটি মিথ, কিংবদন্তী।
পঞ্চাশের
অবক্ষয়ী আধুনিকেরা বাংলা সাহিত্যের যা-যা
সর্বনাশ করে গেছেন, তার অন্যতম এই মিথ্যেয় ঠাসা মিথ নির্মাণ।
উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এরকমই একটি জনশ্রুতি এই : লেখালিখি
করতে গেলে পড়াশোনার কোনও প্রয়োজন নেই; ওর চেয়ে বরং বাজারে
গিয়ে আলু-পটলের দরদাম করো, বাজার
করো নিজের হাতে এবং সেই অভিজ্ঞতা, সেই অনুভূতিই তোমার সাহিত্য
হয়ে উঠবে। অথচ পঞ্চাশের সেই সকল কবি-সাহিত্যিকদের পড়াশোনা
বহু তাবড় পাঠকদের চেয়ে বেশি ছিল। আসলে তাঁরা তো বুদ্ধদেব বসু-র সান্নিধ্য পেয়েছিলেন, যে-বুদ্ধদেব বলেছিলেন,
লিখতে হলে আগে পড়তে হবে। পঞ্চাশের প্রচুর সাহিত্যই যথেষ্ট স্বীকৃতি
পেয়েছে, কিন্তু হলফ করে বলছি, তাঁদের
সাহিত্যের থেকেও অধিক স্বীকৃত হয়ে গেছে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনচরিত।
পঞ্চাশের
উদার আত্মভরিতার পর ষাট দশক নিজের মতো করে চেষ্টা করেছিল সিরিয়াস সাহিত্যচর্চার। অথচ
ভাস্কর চক্রবর্তী কিংবা তুষার রায় --- যদিও ওঁরা হালফিলে স্বীকৃতি পাচ্ছেন, পঞ্চাশের
অনেক সাধারণ মানের সাহিত্যিকরাও যেখানে খ্যাতি পেয়েছেন বেঁচে থাকতেই, তা এই দু'জনও পাননি --- বাদে ষাট দশকের আর ক'জনের নাম এক নিশ্বাসে বলে
যেতে পারবেন অলীক কুনাট্যরঙ্গে মজা রাঁড়ে-ভরা বঙ্গের বাঙালি
পাঠককুল? এই দায় শুধু পাঠকের, তা
তো নয়; বরং অনেক বেশি পঞ্চাশের : পূর্বজের অবরোধনীতি তো কিছু কম ছিল না! ফালগুনি
রায়-শামসের আনোয়ার-মানিক চক্রবর্তী
কিংবা অরূপরতন বসু আজকের পাঠক সেভাবে পড়েননি কারণ তাঁদের কাছে এঁদের পৌঁছতেই দেওয়া
হয়নি সেদিন। যাঁরা খোঁজ রাখেন, তাঁরা নিশ্চিত জানেন,
বাংলা কবিতায় 'অ্যান্টি-পোয়েট্রি' কার কলম চুইয়ে নেমে এসেছিল সেই অভিশপ্ত
প্রহরে। চেপে দেওয়ার এই রাজনীতি আজকের অ্যাকাডেমিকস্-এর কারণেই
আরও কিছুটা মার্জিত চেহারায় হাজির করেছে নিজেকে : খোদ কলকাতার
নামী কলেজ-ইউনির্ভার্সিটির বাংলা ভাষা-সাহিত্যের ছাত্রদের
জনে-জনে ডেকে একবার অন্তত জানতে চাও যে, তারা ক'জন জানে শশিভূষণ দাশগুপ্ত-এর 'নবচর্যাপদ'-এর কথা,
যে-বইয়ে প্রায় দুশোটি চর্যাগান সংকলিত হয়ে
আছে, যে-বই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের
নিজস্ব প্রকাশনা থেকে একদা বেরোলেও আজ তার সামান্য উল্লেখটুকুও মিলবে না কোনও প্রত্নলেখে!
স্বীকৃতির আর-এক শর্ত অতএব --- শর্ত না-বলে শর্টকাট বলাই সঙ্গত --- যেনতেন প্রকারে সিলেবাসের এক কোণে চোদ্দো পয়েন্টে নিজের নামখানি সেঁধিয়ে
দেওয়া; সাহিত্যের চোদ্দো পুরুষ তাতে পিণ্ড না-পেলেও চলে যাবে।
ঋত্বিক
ঘটক বুঝেছিলেন চলচ্চিত্র অনেক-অনেক বেশি শক্তিশালী
মাধ্যম; যে-কোনও দৃশ্যশ্রাব্য মাধ্যম
মাত্রেই তাই। একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি : গ্র্যাজুয়েশন
পরীক্ষায় টীকা এসেছিল 'পথের পাঁচালী'। আমার পাশে-বসা অন্য কলেজের মেয়েটি জানতে চেয়েছিল,
আমি বইটির লেখকের নাম জানি কিনা; তিনিও জানেন,
কিন্তু ওইসময় নামটা তাঁর পেটেই ছিল, ঢেঁকুর
হয়ে উঠে আসছিল না। আমি নামটা জানিয়ে আবারও মনোনিবেশ করেছি লেখায়, উনি খানিক ভেবেটেবে সন্দেহ প্রকাশ করলেন প্রথমে, তারপর জানালেন, আমি ভুল জানি, 'পথের পাঁচালী' সত্যজিৎ রায়-এর লেখা। সেসিন হেসেছিলাম মনে-মনে, পরে বহুবার বহুজনকে ঘটনাটা বলতে গিয়ে আমার সেই নীরব হাসি বদলে গেছে অট্টহাস্যে;
কিন্তু আজ বুঝি, সেদিনের সেই না-জানার দায় তো মেয়েটির একার ছিল না। আমাদের মধ্যে আজকেও ক'জন কোনও সাহিত্যনির্ভর সিনেমা দেখতে যাই আগে মূল টেক্সট-টা পড়ে? আমরা আসলে নিজেরাই বিভ্রান্ত; এই বিভ্রান্তি, আরও যতদিন যাবে, ততই মারাত্মক হবে, এবং/ফলত, অবাক বিস্ময়ে আমরাই হয়তো বলব, তারাশংকর 'সপ্তপদী'-তে
কৃষ্ণেন্দু আর রিনা-কে শেষতক মিলিয়ে দিয়েছিলেন, জানতেও চাইব না নাগরিক মধ্যবিত্তের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে লিখে-চলা, সিনেমার বদৌলতে আমাদের ড্রয়িংরুমে ঢুকে-যাওয়া সুচিত্রা ভট্টাচার্য-এর প্রথম উপন্যাসের
নাম ছিল 'সূর্যাস্তের ময়ূর' --- যে-উপন্যাসের পটভূমি ছিল বেলেঘাটার বস্তি অঞ্চল।
শুরুতেই
যে-জনপ্রিয়তার কথা বলছিলাম, যা আজকের দিনে সম্পূর্ণতই
বাজার নিয়ন্ত্রিত --- কারণ যেহেতু তুমিও জানো লেনিন-এর সেই কথা : সহজ/কঠিন
বলে আদতে কিছু হয় না, পুঁজিবাদী অর্থনীতি এই ধারণাকে নিজের
সুবিধামতো ব্যবহার করে --- আমাদের এখানে যে-বাজারের প্রায় সমার্থক শব্দবন্ধ আনন্দবাজার গোষ্ঠী, যার অন্যতম হাতিয়ার 'দেশ' পত্রিকা, যেখানে এমন-কি,
ছাপা হয়নি সন্দীপন-এর 'বিজনের রক্তমাংস' কিংবা দীপেন বন্দ্যোপাধ্যায়-এর 'অশ্বমেধের ঘোড়া'-র
মতো গল্পও! সন্দীপন-এর গল্পটার ক্ষেত্রে
যদিও বিমল কর-এর সাফাই আছে, যেখানে
তিনি বলেছিলেন, গল্পটি 'দেশ'
পত্রিকায় ছাপা হলে ওই একটিমাত্র গল্পেই বিখ্যাত হয়ে যেতেন সন্দীপন
--- ওই পত্রিকার পাঠকসংখ্যা যার বড়ো কারণ, কিন্তু কী আশ্চর্য, তারা পাঠকের রুচি নির্মাণে
হালফিলে ধারাবাহিক একটা নঞর্থক ভূমিকা নিয়ে চলেছে; নঞর্থক
আমার কাছে, তাদের কাছে ওটাই সদর্থক; কেন-না বাজার ওটাই চায় : সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ, কালচারাল হেজিমনি স্লো
পয়জনের মতো চারিয়ে যাবে পাঠকের অন্তর্গত রক্তে। পাঠক সাহিত্য চান না, তেমনটা আদৌ নয়, আশি-নব্বইয়ে
'প্রতিক্ষণ'-ই তা প্রমাণ করেছিল।
কাকে
গাল পাড়ব?
এ দায় কি আমারও নয়? স্কুলের সিলেবাস থেকে
বঙ্কিম-কে ছেঁটে ফেলে কী পড়ানো চলছে? বাংলা অনুবাদে গার্সিয়া মার্কেজ! আমার এই ক্ষোভ
নিয়ে কই আমি তো নামিনি রাস্তায়। জোর গলায় তো বলতে পারিনি, দুটোই থাকুক, কিন্তু বঙ্কিম-কে বাদ দিয়ে নয়। বঙ্কিম ঠিকই বলেছিলেন, আমাদের
কোনও ইতিহাস নেই, ইতিহাসচেতনা তো দূর কি বাত! প্রথম উপন্যাসে যে-ভাষা তার শিখরদেশ ছুঁয়ে ফেলেছিল, সেই গর্ব কী করে হারিয়ে গেল আমাদের মধ্যে থেকে? লিটারারি মিট-এ প্রাতিষ্ঠানিক কবি যখন বলেন,
বাংলা ভাষা, বলার দিক দিয়ে এই মুহূর্তে পৃথিবীতে
ষষ্ঠ স্থানে, আমি তো উঠে দাঁড়িয়ে আঙুল তুলে বলিনি,
আপনি অর্ধ সত্য বলছেন, যা মিথ্যার চেয়েও
খারাপ, আমার বাংলা ভাষা, মাত্র দশ
বছর আগেও ছিল তৃতীয় স্থানে, আজ এসে দাঁড়িয়েছে ছয়ে,
এভাবেই জীবন যাবে চলে আমাদের কুড়ি-কুড়ি বছরের
পার, উদাসী হাওয়ায় মুকুলগুলি ঝরবে, হয়তো-বা অশ্লীল উদাসীনতায় ঝরে যাবে আমাদের বাংলা
ভাষাও, কিন্তু কোনওভাবেই টাল খাবে না আমার হিরণ্ময় নীরবতা,
কারণ আমার পুরস্কার চাই! ইয়ে দিল মাঙ্গে
মোর! সঙ্গে আরও-কিছু পদ এবং বিপদও,
যুগপৎ।
পুরস্কার!
এই ব্যাপারে সকলেই সকলকে আড়চোখে দেখে! চলো
না, কবিতায়-গল্পে-গানে-উপন্যাসে-সাময়িকপত্রে
পুরস্কার চালু করি আমরা, বন্ধুরাই। প্রথম বছর কবিতায় শ্রীজীবনানন্দ
দাশ, গল্পে শ্রীমানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, গানে শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, উপন্যাসে শ্রীবিভূতিভূষণ
বন্দ্যোপাধ্যায় আর সাময়িকপত্রে শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। কিংবা হোক এমন একটা
কাগজ, যেখানে লেখার সঙ্গে লেখকের নাম থাকবে না; পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশ পাবে লেখকদের নাম। জানি, এসব বললে মার খাওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা। আমরা তো এখন আর সাহিত্য পড়ি না,
সাহিত্যিক পড়ি। দেখো, শচীন তেন্ডুলকর সবাই
হয় না। সেটা হওয়ার বলপূর্বক চেষ্টা ছেড়ে ব্যাটিংটা মন দিয়ে করলে, সবটুকু শ্রম তাতে ঢেলে দিলে, বাণপ্রস্থে যাওয়ার
সময় দেখা যাবে, নামের পাশে হয়তো-বা
লেখা আছে দশ হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক রান! সেই দ্রাবিড় সভ্যতায়
হয়তো লাইমলাইট থাকবে না, পুরস্কারের ঢক্কানিনাদ থাকবে না,
কিন্তু সংকটে তাকেই বেশি প্রয়োজন পড়বে।
পুরস্কার
পেতে নিশ্চয় ভালো লাগে। তবে তার জন্য এই-তো-জানু-পেতে-বসেছি মার্কা
বশংবদ হতে পারব না। বরং কেউ যদি আমার লেখা পড়ে, তাঁর মতামত,
ভালো-মন্দ যাই হোক, চিঠি লিখে জানান, তাতে বেশি আনন্দ পাব। অবসরে পুরোনো
চিঠির ঝাঁপি খুলে তাকে হাতে নেব, ফিরে পড়ব --- ওতে স্পর্শ থাকে, প্রাণের ছোঁয়াচ থাকে।
সপ্রেম
অনির্বাণ
একাধিক স্পষ্ট উচ্চারণে দীপ্ত কন্ঠস্বর । নামহীন লেখার প্রসঙ্গটা সাংঘাতিক । এমন চিহ্নবিযুক্ত না হলে নতুনের প্রাথমিক স্বীকৃতি , অর্থাৎ পঠিত হবে তাঁর লেখা , দুষ্কর ।
ReplyDeleteএত সরল গদ্যে,স্বল্প পরিসরে বলিষ্ঠভাবে মনের প্রায় সবটা তুলে ধরতে পারা কঠিন। সেই কাজটা খুব সহজেই করেছে তোমার কলম। তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ReplyDeleteProud of you.
ReplyDelete