আয়ু
শরীর জন্মান্ধ,
কেবলই স্পর্শের কথা
ভাবি
দেখো, দূরত্ব-আয়ু,
আমাদের বলিরেখা জুড়ে
চোখে-মুখে লেগে আছে অনন্ত মায়াবী সূর্যালোক।
ছোঁয়া
তোমাকে ছোঁয়ার আগে
অন্ধকার এসে পায়ের
তলার মাটি নিয়ে চলে গেছে,
সরে গেছে সমস্ত পথ
রাত্রি দূরত্ব বোঝে
জোনাকি পোকারাও
সুতো টেনে ধরে রাখা
সম্পর্কের মতো
আরো নীল হতে হতে
ক্রমশ ধোঁয়ায় মিশেছে…
আমার দিগন্তরেখা খুঁজেছো
সন্ধ্যারতিতে,
অক্ষর-লেখার ইতিহাসে?
ঝড়
ঘর বন্ধ ছিল,
কড়া নেড়ে ফিরে গেছে
অতিথির দল
শিল্পের সহবাস ভুলেছে
পাণ্ডুলিপি
তার ঋণ ভুল করে ফেলে
রেখে গেছি
শোধবোধ হবে বলে
কাছে গিয়ে দেখি
চারদিক আলো-হাওয়া
প্রবল জলোচ্ছ্বাস
আমার আঙিনা জুড়ে ছেলেবেলা, পাতাদের ঝড়…
ঠিকানা
একা হেঁটে যাওয়া পথ
শেষ হলে
ঝরে যায় সমস্ত ঘাম,
এখন ঠিকানা এসেছে
পথ ধরে
অপেক্ষা অনেক
রয়েছে, তবু,
বোবা অক্ষরের মতো
হাঁটারা রয়েছে
একা রাস্তায়...
হে বন্ধু, চিনে
নাও ক্লান্ত শরীর
একই চোখ, চেনা
পথ, দিক পাল্টায়।
ডানা
মৃত্যু আসন্ন জেনে
বারবার ছুটে আসি পতঙ্গের
মতো
এমনই ধারণা দেবো,
ঘুরে ওঠা হাওয়াদের
অনুমান সত্যি হলে
তছনছ করে দেবো নিজেকেই…
ইতিহাস লেখা হবে
ছিঁড়ে যাওয়া ডানার
ভেতর।
No comments:
Post a Comment