খুঁজুন। ক্লিক করুন। টাইপ করুন।

8.7.18

গুচ্ছ কবিতা শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী






সুরোদ্যান সিরিজ 


১৷
ঋতুকালের ফুলগাছ

ছাদের এককোণে বেড়ে উঠছে চারাগাছ 
ক্লান্ত দুহাত ভরে নিস্তব্ধ নিভন্ত কুঁড়ি
ঠিক যেমন একদিন ফিরে এসেছিল বাবা
আগরতলার থেকে
নুব্জ কাঁধের ভারে থমকে গিয়েছিল 
রাস্তার মোড়।
ঋতুকাল পার করে টবের সান্নিধ্যে বারবার আজ মনে বেজে ওঠে

বাবা হেরে যাননি সেদিন
বাবা তো হারতে পারেনা!

২।
বসন্তবৌড়ির কথা

ভোর ভোর সরগম বেজে ওঠে
ভিতরকণিকায়।
খড়ের চালের নিচে ঘুলঘুলি ভরে ওঠে
আশাবরী গলা সাধে হালভি রমণী
প্রায়ান্ধ দাদিজি তান শুনছেন ঝুঁকে পড়ে 
অলস ঝুলছে পা প্রবাসনগরে
যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নদীপথে
মাঝরাতে
কাঁটাতার পেরিয়ে পেরিয়ে

৩।
যদুনাথ


পাখির ছায়ার ঢঙে সন্ধ্যা নামছে ওই 
বাঙালিপাড়ায়
জ্বলে ওঠে ষাট ওয়াট সান্ধমজলিশে
ঘূণপোকা ডেকে ওঠে।
যদুনাথ পাতা ওল্টান।ইন্দ্রাবতীর মতো
নগরের ছোট্ট সরোবর
ঝমঝম বেজে ওঠে...

৪৷
হরিপালের পথ

সাড়ের আটটার ট্রেন ধরে
হরিপাল প্রতিদিন 
দৌড়িয়ে চলে ।
নিকোনো দেয়াল,চক,চেয়ারটেবিল 
মুগ্ধ শ্রোতারা
বৃষ্টির ফোঁটা ।শ্রাবণধারায়
ভেসে এল একরত্তি মনসাতলার সোঁদা গলি
আলোয় আঁধারে ভাসে
মুগ্ধ খিলান 

ভেসে আসে
ভেসে ভেসে আসে


৫।
৫৬ নেতাজি সুভাষ রোড

হেলানো চেয়ার নড়ে চলে।
সসব্যস্ত ঘড়ি।ঝর্ণাকলম
আলমবাজার ভেসে আসে
গঙ্গার পার 
দৃপ্ত দুপুর হেঁটে যায়
তেমাথার এপার ওপার ।
ঝড় বয়ে যায় 
আকাশপ্রদীপ
মহাকাশচারীদের মতো মহীরুহ 
ছায়া আগলায়

৬।
খেলার মাঠের লোকটা


একবার কথা হয়েছিল 
সন্ধ্যা তখন।নিভু নিভু বিদ্যায়তনের মাঠে
অন্ত্যমিলের ছলে
ঠাকুরঘরের দক্ষরাজ।
আশ্রয় চেয়ে চলি।কতোবার কথা হয়েছিল 
দেখা হবে কোনও একদিন
মাটির দাওয়ায়।

No comments:

Post a Comment

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"আমি বিদ্রোহী নহি, বীর নহি, বোধ করি নির্বোধও নহি। উদ্যত রাজদণ্ডপাতের দ্বারা দলিত হইয়া অকস্মাৎ অপঘাতমৃত্যুর ইচ্ছাও আমার নাই। ক...