খুঁজুন। ক্লিক করুন। টাইপ করুন।

9.7.18

বিষয় স্বীকৃতি ও কণ্ঠরোধ দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়





ঠুঁটো জগন্নাথ কিংবা সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ, গণতন্ত্রের মৃত্যু        



ওয়েলিংটনের ফুটপাত থেকে বইটা কিনেছিলাম। দ্য ব্যুরক্রেসি অব ট্রুথ। লেখক পল লেন্ডভ্যইতার পর যা-হয়, পড়ব-পড়ব করেও পড়া হয়নি। ধুলিধূসরিত হয়ে পড়েছিল ঘরের অন্যান্য বইয়ের স্তুপে।
সেই সময় ঠিক সাংবাদিক হয়ে উঠিনি। তবে, স্নাতক পর্যায়ে সাংবাদিকতা একটি বিষয় ছিল। তাতে এই পেশাটিকে ততটাই জানা সম্ভব, যতটা বইটই পড়ে এভেরেস্টের চূড়ায় ওঠার অভিজ্ঞতাকে উপলব্ধি করা যায়
গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর, কয়েকটি সংবাদপত্রে ফ্রিলান্স সাংবাদিকতা করার সুযোগ পেলাম সেই সময় প্রায়শই, সন্ধের মুখে, দ্য স্টেট্‌সম্যান পত্রিকার দফতরে যেতাম পরিচিত এক সাংবাদিকের কাছে। তিনি এক দিন বললেন, বাংলাদেশ সীমান্তে যাচ্ছিযাবে নাকি? সেই প্রথম সুযোগ এল সরাসরি সাংবাদিকতাকে খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার। বুঝলাম, সাংবাদিকরা যা-কিছু দেখেন, শোনেন, জানতে পারেন সবটাই লেখা যায় না। অনেক বাধ্যবাধকতা থাকে।
ছাত্রাবস্থায় ভাবতাম, এক দিন সাংবাদিক হয়ে অনেক রাঘববোয়ালের মুখোশ খুলে দিতে পারব, দুর্নীতি ফাঁস করবসেই সময় কলেজ-রাজনীতিতে মিশে বিপ্লবের স্বপ্নটপ্ন দেখার ফলেই হয়তো এই ধারণাটি বদ্ধমূল হয়েছিল। চেহারায় চে গুয়েভারা-লুক আনতে লম্বা-চওড়া দাড়িও রেখেছিলাম। এক দিন দুপুরে নিজের ঘরে বসে আছি। বাইরে মেঘ করেছে। যে কোনও মুহূর্তে বৃ্ষ্টি নামবে। জানলা দিয়ে সেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে হল,  নির্ভীক সাংবাদিকতাই হবে আমার জীবনের এক মাত্র লক্ষ্য। হোয়াট মে কাম!
এর কিছুদিনের মধ্যেই একটি ছোট কাগজে শিক্ষানবিশি সাংবাদিকের চাকরি জুটে গেল প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার। সেখানে গিয়ে প্রথমেই পরিচয় হল পুলিশের এক জনসংযোগ আধিকারিকের সঙ্গেতিনি রোজ বিকেলে একটি ফাইল থেকে খবর পড়েন। সাংবাদিকরা সেই খবর টুকে নেন। কে কোথায় বাসে চাপা পড়ল, কোন গৃহবঁধূ গলায় দড়ি দিল, কোথায় ছিনতাই হল, কোন যুবতী নিখোঁজ ইত্যাদি! তার পর, পুলিশের বড়কর্তারা সেই সব খবরের ওপর দুচারটি মামুলি প্রশ্নের জবাব দেন। ব্যস, অফিসে ফিরে লিখে ফেলি। এ আর এমন কী শক্ত কাজ! কিছু দিনের মধ্যেই একঘেয়ে লাগতে শুরু করল।
প্রবীণ এক সাংবাদিকের সঙ্গে বেশ খাতির হয়ে গিয়েছিল। আমাকে স্নেহ করতেন। বলতেন, তেমন-তেমন সংবাদ মস্তিষ্কে তৈরি হয়। খবরের চোখ থাকা চাই। চারপাশে খবর উড়ছে, শুধু ধরতে জানতে হবে এক দিন ওঁর সঙ্গে লালবাজার থেকে ফিরছি। কথা প্রসঙ্গে বললেন, শোনো, এক-একটি কাগজে এক-একটি খবরের মেরিট এক-এক রকম। এই ব্যাপারটা ভালো করে বুঝতে হবে, খবরের সোর্স-নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। তবেই তুমি দড় সাংবাদিক হতে পারবে। এই পেশায় আর যাই হও, পোর্টার হয়ে থেকো না! এর পর তিনি পকেট থেকে নোটবই বার করলেন। বললেন, একটা খবর দিচ্ছি। আমার কাগজ নেবে না। তোমাদের কাগজ সম্ভবত ছাপবে। পয়েন্টসগুলো চটপট লিখে নাও। খবরের মুড়ো, সাংবাদিকতার পরিভাষায় ইন্ট্রো, তিনিই বলে দিলেন।
অফিসে ফিরে খবরটি লিখে ফেললাম। পরের দিন দেখি, প্রথমপাতায় বেশ গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে। অনেকেই প্রশংসা করলেন। আমার মাথায় মেরিট শব্দটি চিরদিনের জন্য গেঁথে গেল। একটি কাগজে যে-খবর প্রথমপাতায় ছাপা হয়, অন্য কাগজের কাছে সেই একই খবর গুরুত্ব পায় না কেন?
এর বেশ কিছু কাল পরের কথা। তখন বড় কাগজে চাকরি করি, অভিজ্ঞতাও বেড়েছে, অপরাধ জগতের সাংবাদিক হিসেবে কিঞ্চিত নামডাক হয়েছে। কয়েক দিনের ছুটিতে পুরি বেড়াতে গিয়েছি। সমুদ্রের ধারে অস্থায়ী একটা চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে বসে আছি, পাশে দুই বাঙালি ভদ্রলোক। তাঁদের মধ্যে এক জন কোনও একটি সরকারি দফতরের দুর্নীতির কথা বলছিলেনতিনি সেই সরকারি দফতরটিতে চাকরি করেন বলেই মনে হলআমি উৎকর্ণ হলাম। সাংঘাতিক খবর। অনেক সময় এটা হয় দেখেছি। পুলিশের বড়কর্তারা, এমনকী আইপিএস পদমর্যাদার অফিসারেরা পর্যন্ত, গল্প করতে-করতে নিজেদের অজান্তেই মারাত্মক সব খবর বলে দেন। তাঁরা বুঝতেও পারেন না কোন কথাটা প্রশাসনের বিড়ম্ভনার কারণ হতে পারেএক্ষেত্রেও তাই-ই হল। আমি অযাচিতভাবে আলাপ জমিয়ে অতিরিক্ত কিছু জানতে চাইলাম। ভদ্রলোকটিও নির্দ্বিধায়, কোনও রাখঢাকের তোয়াক্কা না-করে, আরও অনেক তথ্য দিলেনকলকাতায় ফিরে ফোনাফোনি করে খবরটির সত্যতা যাচাই করলাম, সবিস্তার জানলাম
স্টোরি ফাইল করার পর, কাগজের সম্পাদক ডেকে পাঠালেন। গম্ভীরভাবে বললেন, এই খবর ছাপা যাবে না। অসুবিধে আছে। সম্পাদকের মুখের ওপর কোনও প্রশ্ন করার সাহস এক জন তরুণ সাংবাদিকের থাকে না। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম, সরকারি দফতরটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে মালিকপক্ষের ব্যবসায়ীক স্বার্থ জড়িত। বহুদিন আগে প্রবীণ সাংবাদিকের মুখনিঃসৃত বাণী মনে পড়ে গেল, এক জন সাংবাদিককে খবরের মেরিট বুঝতে হয়! তোমার কাগজ কী ধরনের খবর খাবে, সেব্যাপারে সম্যক ধারণা থাকাটা বিশেষ জরুরি।
তা হলে কি সাংবাদিকের স্বাধীনতা বলে কিছু নেই? এই পেশাটির সঙ্গে অন্যান্য পেশার কী তফাত রইল? মাস গেলে মাইনে পাওয়াটাই বড় হয়ে দাঁড়াল? এই সব ভাবনা মনকে পীড়া দিত, বিষাদিত হয়ে পড়তাম।
চমকপ্রদ খবরটি করেছিলাম ছিয়ান্নব্বই সালে। কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রসূতি বিভাগের এক সদ্যজাত শিশুপুত্রকে রাতের অন্ধকারে বদলে দেওয়া হয়েছিল। পরিবর্তে দেওয়া হয়েছিল শিশুকন্যা। শিশুটির মা-বাবাকে বলা হয়েছিল, আপনাদের কন্যাসন্তান হয়েছে কিন্তু, হাসপাতালের দাবি মায়ের মন মানবে কেন? তিনি নিজে দেখেছেন, তাঁর ছেলে জন্মেছেকিন্তু এই পোড়ার দেশে গরিবের কথার কোন মূল্যটা আছে?
আমাকে খবরটা দিয়েছিলেন মধ্য কলকাতার এক থানার সাব-ইনস্পেক্টর। খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে হইচই পড়ে গিয়েছিল। রাজ্যে তখন বামফ্রন্ট সরকার। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ব্যাপক  বিক্ষোভ, আন্দোলন শুরু হয়ে গেল। সেই সময় বৈদুতিন মাধ্যমের এত রমরমা ছিল না। টিভি বলতে দূরদর্শন। খবরটি এতটাই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল যে, বিবিসি-এর টেলিভিশন টিম পর্যন্ত কভার করতে চলে এলশিশুবদল, বা বেবিসুইচ রাতারাতি আন্তর্জাতিক মান্যতা পেল।
 প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ, বিতর্কিত খবরেরই ফলোআপ স্টোরি থাকে। এখানেই এক জন সাংবাদিকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আপনার এক্সক্লুসিভ স্টোরিটি এখন বারোয়ারি হয়ে গিয়েছে। সমস্ত কাগজের রিপোর্টার সেই খবরের ফলোআপ করতে দৌড়চ্ছে। আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল। ফলোআপ স্টোরিগুলিতেও তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হল। রাজ্য সরকার, প্রশাসনের বিড়ম্বনার চূড়ান্ত। সেই সময়ই বাড়ির ল্যান্ডলাইনে হুমকি-ফোন আসতে শুরু করল। পিতৃদেব ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে বললেন, এমন চাকরি করার আর দরকার নেই। বয়েস থাকতে সরকারি চাকরির চেষ্টা করো। কিন্তু, সাংবাদিকতা বড় ভয়ানক নেশা। এক বার রক্তপ্রবাহে মিশলে, নিষ্কৃতি পাওয়া মুশকিল।
এখানে লেখার বিষয় কণ্ঠরোধসাংবাদিকতার পেশায় দীর্ঘদিন কাটিয়েছি। কত ভাবে যে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ হয়, তা বিশদ করে লিখতে গেলে রবীন্দ্র-রচনাবলী হয়ে যাবে। যেটুকু লিখলাম তার বাইরেও অনেক আছে। সবটা লেখা যায় না, লেখা উচিতও নয়। দুর্নীতির খবর জেনেও না-লিখতে পারার যন্ত্রণা কতটা দুর্বিষহ সাংবাদিকমাত্রই বুঝবেন। বেশিরভাগ সাংবাদিকই মুখ বুঝে সহ্য করেন। কারণ, সহ্য না-করলে দুর্লভ চাকরিটি খোয়ান অবধারিত হয়ে পড়ে। সংবাদমাধ্যমের জগৎ খুব ছোট এখানে প্রায় সকলেই সকলকে চেনেন, খবরাখবর রাখেন। বেয়াদব সাংবাদিককে সাধ করে কোন মালিকই-বা দুধ-কলা খাইয়ে পুষতে চাইবেন? অতএব, মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না। অনেক ক্ষোভ, দুঃখ, হীনম্মন্যতা বুকে নিয়ে কলমে কনডোম পরিয়ে রাখতে হয়।
এখন দিন কাল পাল্টেছেবলা ভাল, ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। খবর লিখে গুলিবিদ্ধ হওয়া, প্রাণহানির ঘটনাও নতুন কোনও বিষয় নয়। স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিকদের আগের চাইতে অনেক বেশি সতর্ক হয়ে খবর লিখতে হচ্ছেকাগজ-মালিকদের ওপর রাষ্ট্রের চাপ বেড়েছে। সাংবাদিকতার সেই গুণমানও আর বজায় নেই, মেরদণ্ডের ঋজুতা নেই, সব চেয়ে বড় কথা সুনির্দিষ্ট কোনও আদর্শ নেই। বৈদ্যুতিন মাধ্যম এসে সাংবাদিকতাকে অনেকটাই খেলো করে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথা না-বললেই নয়।
খবরের কাগজের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে, সবে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে কাজ শুরু করেছি। সূত্র মারফত একটি খবর পেলাম। প্রশাসনিক দুর্নীতির মস্ত বড় খবর। কিন্তু, টিভিতে এই সংবাদ যাবে কী করে? কী করে দেখান সম্ভব হবে? এক সহকর্মী বুদ্ধি দিলেন। টিভিতে এভিও বলে একটা পদ্ধতি আছে। এভিও বলতে, অ্যাঙ্কর ভয়েজ ওভার। সাংবাদিক খবর লিখে দেবেন, সেটি নিউজ-রিডার পড়বেন, সঙ্গে দেখান হবে প্রাসঙ্গিক ছবি। আমার তো আহ্লাদ আর ধরে না। এ তো কাগজের মতোই। এভাবে সব ধরনের খবরই দেখান সম্ভব হবে। কিন্তু, আমার সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
খবরটি সম্প্রচার হতেই প্রবল বিতর্ক শুরু হল। সংস্থার হেডআপিস থেকে লম্বাচওড়া নোটিস পৌঁছে গেল। আমি মেমো খেলাম। অর্থাৎ, আমাকে সতর্ক করে দেওয়া হল। নোটিসে স্পষ্ট বলা হল, প্রতিটি খবরকেই বাইট, কাউন্টার-বাইট দিয়ে সাবস্ট্যানশিয়েট করতে হবে। এভিও করা চলবে না। কিন্তু, এভাবে খবর করা যায় নাকি? কে বোঝাবে কাকে! যে-সোর্স মারফত খবরটি পাওয়া গিয়েছিল, তিনি ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাইবেন কেন? শহিদ হতে? এটা অবাস্তব সিদ্ধান্ত। কিন্তু, ওই যে আগেই বলেছি, সাংবাদিকদের অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। এটি বোধহয় গোটা বিশ্বের সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কোথাও কম, কোথাও বেশি, এই যা! এর পরেই আমি খবর করার খিদে চিরতরে হারিয়ে ফেললাম। আমার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেল। কাগজে ফেরার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু, সেই সময়, সম্ভব হয়নি।
এর কাছাকাছি কোনও মনখারাপের সকালে ঘরের বিছানার শুয়ে আছি। হঠাৎ-ই, বহুকাল আগে ওয়েলিংটনের ফুটপাত থেকে কেনা বইটির কথা স্মরণে এল। বিস্তর ধুলো ঝেড়ে পড়তে বসলাম পল লেনভ্যইয়ের দ্য ব্যুরোক্রেসি অব ট্রুথ। দুপুর, বিকেল, সন্ধে গড়িয়ে গেল। বইটি শেষ করে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলামতৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ায় কীভাবে সংবাদমাধ্যমের ওপর রাষ্ট্র খবরদারি চালাত, তারই পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা বইটির প্রতিটি পাতায়! কী কুৎসিত, ভয়াবহ সেই খবরদারির স্বরূপ, ভাবলে লজ্জা পেতে হয়, গায়ে কাঁটা দেয়।
ভারতেও বিভিন্ন সময়ে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে জরুরি অবস্থার দিনগুলিতেসেই সময় নির্ভীক সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়েছিল একমাত্র দ্য স্টেট্‌সম্যান পত্রিকা। রাষ্ট্রের যাবতীয় চোখ-রাঙানিকে উপেক্ষা করে, প্রতিবাদস্বরূপ সেন্সর্ড খবরগুলির জায়গা ফাঁকা রেখেই পত্রিকা ছাপা হত।
দেশের সংবাদমাধ্যমগুলির ওপর এই মুহূর্তে রাষ্ট্রের ভয়ানক চাপ রয়েছে, প্রতিদিন স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছেপ্রায় জরুরি অবস্থার পরিস্থিতিই বলা চলে, কিংবা তার চেয়েও ভয়াবহধর্ম, জাতপাতের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে দেশ। সংবাদমাধ্যমকে দেখান হচ্ছে রক্তচক্ষু। বেচাল দেখলেই রাষ্ট্রের খড়্গ নেমে আসছে। সাংবাদিকদের একটি বড় অংশ ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রের পদানত। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সুখের নয় মোটেও। সংবাদমাধ্যমের সার্বিক কণ্ঠরোধ মানেই গণতন্ত্রের মৃত্যু হওয়া এভাবে চলতে থাকলে, তার আর বেশি দেরিও নেই!


                                                                                                  


1 comment:

  1. খুব প্রাসঙ্গিক লেখা,ভালো লাগলো পড়ে দীপঙ্করদা

    ReplyDelete

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"আমি বিদ্রোহী নহি, বীর নহি, বোধ করি নির্বোধও নহি। উদ্যত রাজদণ্ডপাতের দ্বারা দলিত হইয়া অকস্মাৎ অপঘাতমৃত্যুর ইচ্ছাও আমার নাই। ক...