কৃষ্ণগহ্বর
তারাটার মৃত্যু হল আজ।ধীরে ধীরে আলো ক্ষয়ে গিয়ে
শীতলতম অন্ধকার
কালীদহ কৃষ্ণগহ্বরে
অর্বাচীন শব্দের মতো
অচেনা কবিতার মতো
মিলিয়ে গিয়েছে
অথচ যাপনে তার লেলিহান জিজ্ঞাসা
আমি আছি
আমি থেকে যেতে তাই
প্রতিটি পরতে
আর মুঠো পারদের গায়ে
সে ছিল মুক্তোর মতো কোনও নতুন কিশোরীর
শঙ্খশয্যার বিভাজিত বেদনার উল্লাসে
তারাটার মৃত্যু হল আজ।
ঘুমিয়েছে কৃষ্ণগহ্বরে।
সব মৃত তারাদের মতো।
সবহারা কবিতার মতো।
সীমারেখা
প্রতিটি দেহের একটি সীমারেখা আছে
আর প্রতিটি সীমারেখায় জোনাকির আলো
উত্তাপহীন ঘুমের মতো----
উদভ্রান্ত যুবক নীহারিকার কাছে হাঁটু মুড়ে
দেহের সীমারেখায় বাসা বাঁধবে
গড়ে নেবে উপনিবেশ
চাবি দিয়ে ঢুকে যাবে পিছল অন্ধকারে
অথবা কবন্ধ রাক্ষসের মতো
ছিঁড়ে ফেলবে
কুয়াশার বিস্তীর্ণ জাল
চুয়ে পড়বে ঘাম
চুয়ে পড়বে শিশিরের
সমস্ত শিহরণ
আর ঘড়ির কাঁটা
টিক টিক
টিক টিক
অমিত্রাক্ষর ছন্দের মতো
বয়ে চলবে সীমারেখায়
No comments:
Post a Comment