ব্যাণ্ডেজ
বান
ডাকা আষাঢ়ে দৃষ্টি দিয়ে মা আমাকে দেখছেন শৈশব থেকে ,হুশ করে তুফান জলে মড়া সাঁতার
,গ্রামের ছোট্ট নদীটা এখনও ইংলিশ চ্যানেল,জলে খাবি খেতে খেতে সেই কবে থেকে ভেসে
চলেছি ,মৈথুন ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে।
কলমিলতার বাকল থেকে আঁশ
ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে কুতুবমিনারের গল্প লিখে গেছি,বাবাকে খুঁজে না পাওয়াটা ব্যাবিলনের শুন্য
উদ্যান সমেত অহংকারী বাতাসের নিরস অপলাপ।
ক্ষিদে জাগছে তবু জ্বলছে না,থামছে না। গিলছে
শুধু নিরহংকার খাবার নিজেই আগুন হয়ে জ্বলে উঠছে জলে জঙ্গলে।
আকাশপাখি
হাজারো ডানায় ডানায় ছবি
লিখে চলেছে ব্যস্ত শহরতলীর কলতলার নিকষ কালো নিরহংকার সলজ মেয়েটি,সে কাউকেই চেনে
না,হাঁটতে হাঁটতে কতদূর চলে গেছে বিনুনি দুলিয়ে।
দু পায়ের তলা দিয়ে গলে
গেছে কালো বিড়াল,তাকে সে চেনে।
আদর খেতে খেতে পাখি হয়ে
যায় কালসাপ বিন বাজিয়ে রেখে মেয়েটি দুটি টাকা চায়,নিজে কোনোদিন সাজতে পছন্দ
করেনি,তার বিড়ালকে সে কুমকুমকাজল পরিয়ে সাজিয়েছে।
ছোট এক মাটির কলসি পেতে
সে জল ভরে, উঠোনের দাওয়ায় বসে কাদাজাম খায়,অথবা টিয়া পাখিটিকে সে যত্নে বসায়
কোলে।ছোট ছেলে পেলে বালি নিয়ে খেলে ।
সে একদিন আকাশপাখি হয়ে শ্বশুরবাড়ি যাবে
,ছেলেপুলে নিয়ে ঘোরতর সংসারী ,সমস্ত রাতের ব্যাথা সেদিন ফুল হয়ে অমৃতবাজার ।তবুও
হাল ছেড়ে পাল খাটাবে না।
সংসার অসুখ তার কপালে
,ফেটে চৌচির হয়ে গ্রাস করে নেবে কেলেকড়ার বিষহরি ফল।
নর্মদানর্দমা
কলকল করে জল চলেছে,
পুণ্যবতী হিংএর কচুরিপানা কোমর জলে নাচেগায় সাবানমাখে,
"আমি কি তার
সই" দে আমার বাঁধন খুলে দে।
পাতায় পাতায় রান্নাঘর
গেরস্থালি চোখ মুখ নাক কান,গলা দিয়ে আওয়াজ নামে না ,জল ছুঁতে গিয়ে বিষণ্ন মিনার
ভোর থেকে রাত মনখারাপের গল্প শোনায়।
জলের কোনো মন খারাপ
নেই,সরল নুড়িবালি মেখে আনন্দ আর আনন্দে বিভোর।
পচা শব শ্বাপদের বমিবমি
বয়ে চলে জল,দোষ নেই
ক্লান্তি নেই ক্ষমা নেই,রক্ত ভক্ত শক্ত হাতে কেড়ে খাচ্ছে জল ,নিংড়ে খাক করে
মন্দিরে ঘন্টা নাড়ে, ভেসে চলে জল।
কুলটা বউ ছলাৎ চলতে
গিয়ে পিছল পিছল,নদীর দিনরাত সমান সমান, কে মাপবে জল ।
কেউ জানেনা সঠিক
পাসওয়ার্ড কী !
No comments:
Post a Comment