খুঁজুন। ক্লিক করুন। টাইপ করুন।

8.7.18

তিনটি কবিতা অর্ণব চৌধুরী







রিষাভ

কুয়াশার ছিটে ভিজিয়ে দিয়েছে মুখ
পর্দানশিন যতো আয়জন ভার
অনিত্যকে খোঁজ করে রোদ্দুর
সমস্ত দিন অন্ধের বিস্তার

যা কিছু অপার, তোমার দুহাতে থাক
যা কিছু উজাড় করেছিল শীতকাল
যাকিছু নিখুঁত কোমল রিষাভ রাগ
যাকিছু তোমার বুকভরা ভাবিকাল

আমিও কিনার ছুঁয়েছি নিরন্তর
মহাউদাসীন দরবেশ আমি -ভোগী
কুয়াশা গিলেছি স্বপ্নে অতঃপর

দেখেছি কোথায় ব্রহ্মের বৈরাগী
একা, খুব একা সিক্ত ঘাসের মতো
নড়ে ওঠে আর সূর্যকে সাড়া দেয়

অফুরান হাওয়া মধুঋতু কল্লোল
রূপকথা ঘুম- আচমকা ভেঙে যায়



গর্ভলোক

রোদের উজালা ভরা তুমি এক স্বপ্নময় মুখ
ঘুমের ভিতরে জাগো, অথবা এ চরাচর জুড়ে
রেখো তার হাওয়ার চাবুক

অথর্ব সন্তান আমি কিছুটা ভুতুড়ে
আলোর পিছনে ছুটি, নষ্ট করি নিখুঁত সময়
আর যেই ছুঁতে যাই, ঝলসে ওঠে অধিকন্তু ভয়

আকাশের পার ঘেঁষে নেমে যায় সব দোলাচল
হা মুখে গড়িয়ে নামে বৃষ্টিধারা, চরণ-অমৃত
শিশুকাল ভরা এই জীবন সম্বল

তোমাকে আমাকে ঘেরে বৈরাগের ব্রত



হৈমন্তীকে

আমাকে নারী দাও অশ্রুবারি দাও এ হাওয়া শুধু এক আর্তনাদ
উঠছে রোদ্দুর হয়তো বহুদূর আমার আত্মায় বিষুব জল
ভ্রমের সন্ধ্যায় অঝোরে ঝরে যায় নৃত্যকরে তার মেঘের দল

ততোই কিছু নেই, কিছুতে কিছু নেই, যেন সে হাহাকারে আসছে রাত
কিংবা পুরুষের ভিতরে ঢুকে পড়া তথৈবচ এক নারীত্ব
জানলা ভেঙে যায় আকাশে ওড়ে ছাই শূদ্রকাল আঁকা রাজত্বে

হৈম শেষে শীত-ও আজানুলম্বিত শরীরে দানা বাঁধে নতুন জন
কোথায় শালীনতা জন্মশূন্যতা জড়িয়ে ধরে কার আলিঙ্গ

No comments:

Post a Comment

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"আমি বিদ্রোহী নহি, বীর নহি, বোধ করি নির্বোধও নহি। উদ্যত রাজদণ্ডপাতের দ্বারা দলিত হইয়া অকস্মাৎ অপঘাতমৃত্যুর ইচ্ছাও আমার নাই। ক...