জুন পর্ব: এক
স্থায়ী
অনেকদিন গানের খাতা নেই। স্বরলিপি থেকে একেকটা নিঃশব্দ হাউই যেসব টুকরো ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের গুণগুণ দূরে মিলিয়ে যাচ্ছে ওই। পুরনো গলির পাশ দিয়ে নীল সাইকেল আচমকা পাল খুলে উড়ে যায়। গলাসাধা সকাল একটা হাইফেনের মত জুড়ে রেখেছে প্রবেশ ও প্রস্থানের মুহূর্ত। অপ্রয়োজনের তালিকায় আমি কোনও নামলিপি রাখিনি আজো। শব্দপ্রকরণ শিখতে কতটা সময় খরচ করে ফেলি শুধু। কোমল নিষাদ কি এত উপেক্ষা ফিরিয়ে দেবে না!
অন্তরা
আমাদের মাঝখানে পাখি ঢুকে পড়েছে, কলকাকলি। ফলত একে অপরের কথা শুনতে পাচ্ছিনা আর। ঠোঁট ওঠানামা দেখে প্রাণপণ পড়তে চাইছি ঢেউ। অথচ শব্দপ্রাবল্য মনোযোগ টুকরো করে দিচ্ছে বারবার। চোখের ভিতর নৌকো ঢুকে গেছে ফেরিঘাট সমেত। খুচরো পয়সার শব্দে শুনতে পাচ্ছিনা চোখের পাতা ভিজে ওঠার কাহিনী। স্পর্শলিপি অনাদর মেখে খটখটে। শুধু একটা কারখানার সাইরেন বেজে উঠলে অপরিবর্তিত ছায়াদের হেঁটে যাওয়ার পথ চিনতে পারি আবার।
সঞ্চারী
তোমার ভিতরে জলপ্রপাত আর উড়ন্ত পতঙ্গ মিলে যে বিভ্রম তার কাছাকাছি লুকনো রেল কোয়ার্টার, চা-বাগান আর কুলিবসতির রাত্রিকালীন সেজে ওঠা। সেসব গল্প করার সময় চোখের আড়াল থেকে একটা আয়না তিন টুকরো হয়ে রৌদ্র লেখে। আচমকা কাশির শব্দের মধ্যে ঢেকে ফেল ইঞ্জিনের হুইসল আর লণ্ঠন দুলে ওঠা সেইসব রাস্তা যারা ঘর থেকে মাঠবরাবর গিয়ে নিজেদের হারিয়ে ফেলেছে। বালকটিও হারিয়ে ফেলেছে তোমার মধ্যে সম্পূর্ণ একটা সকাল। খুঁজে চলেছ পরস্পর বিপরীত মুখে। একবার জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারতে কিভাবে তোরঙ্গে জমিয়ে রেখেছি শুকনো চা-ফুল আর ইতস্তত ফেলে আসা লালবারান্দার আলো।
খাসা হয়েছে
ReplyDeleteবাহ। চমৎকার ।
ReplyDeleteপড়লাম। বেশ!
ReplyDeleteখুব ভালো
ReplyDelete