জানালা
জানালাটা কথা বলে ,
খেলতে বলে ,
উড়তে বলে ,
ভাসতে বলে ...
ফ্রেম ও পাল্লায়-পাল্লায়
ক্ষত-বিক্ষত মহীরুহ
শিকড়ের ব্যাকরণ শেখায় ।
শিল্পীর চোখে ,
জানালাটা অপলক তাকিয়ে থাকে ।
কারা যেন জানালায় চোখ রেখে
রোদ ,ঝড় ,বৃষ্টির
অনুরাগ লিখে রাখে ।
জানালাটা হৃদয় দেখায় ।
জানালাটা কথা বলে ,
খেলতে বলে ,
উড়তে বলে ,
ভাসতে বলে ...
ফ্রেম ও পাল্লায়-পাল্লায়
ক্ষত-বিক্ষত মহীরুহ
শিকড়ের ব্যাকরণ শেখায় ।
শিল্পীর চোখে ,
জানালাটা অপলক তাকিয়ে থাকে ।
কারা যেন জানালায় চোখ রেখে
রোদ ,ঝড় ,বৃষ্টির
অনুরাগ লিখে রাখে ।
জানালাটা হৃদয় দেখায় ।
আক্ষেপ নেই
ঝরে যাবে বলেই
ফুলগুলি ফুটেছে ।
জোটেনি দৃষ্টিনন্দন বাগান ,
হয়ত নিবিড় হাতের ছোঁয়াও পাবেনা ।
সাজিও ফিরিয়ে নিয়েছে মুখ ,
আক্ষেপ নেই ।
অস্তিত্ব তুলে ধরেছে ----
সবুজ পাতার রান্নাঘর ।
ঝরে যাবে বলেই
ফুলগুলি ফুটেছে ।
জোটেনি দৃষ্টিনন্দন বাগান ,
হয়ত নিবিড় হাতের ছোঁয়াও পাবেনা ।
সাজিও ফিরিয়ে নিয়েছে মুখ ,
অস্তিত্ব তুলে ধরেছে ----
সবুজ পাতার রান্নাঘর ।
ধানখেতের কবি সম্মেলন
আসমানী আকাশের তলায় ,
মাঠের খোলামঞ্চে কৃষক আয়োজন করেছে ---
অভিনব কবি সম্মেলন ।
যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ,
একে একে তারা সকলেই এসেছে ।
যারা নবান্নের অধীর প্রতীক্ষায়
ডাইনিংটেবিলে সাজিয়ে রাখে প্লেট ,
তারা কেউ আসেনি ।
তবু আয়োজনের কোনও ত্রুটি নেই ।
প্রথমেই রোদ্দুর এসে
মাঠের সবুজ খাতায় খুলে বসে
সবুজ পাণ্ডুলিপি ।
রোদ ,মাটি ,জল ,বাতাস .....
একে-একে সকলেই শুনিয়ে যায় ----
নিবিড় সম্পর্কের কবিতা ।
মাঠের আবহসঙ্গীতে আকৃষ্ট পোকামাকড়
কেঁচোর কবিতা শুনেও
দাঁতে কাটে কবিতা ।
----কৃষকের সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায়
আরও সবুজ হয় সৃষ্টি সম্ভার ।
ধানখেতের কবিসম্মেলন ,
যখন ডাইনিংটেবিলে উঠে আসে
সান্ধ্য কবিতার আসর জমে ওঠে নন্দনে ।
আসমানী আকাশের তলায় ,
মাঠের খোলামঞ্চে কৃষক আয়োজন করেছে ---
অভিনব কবি সম্মেলন ।
যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ,
একে একে তারা সকলেই এসেছে ।
যারা নবান্নের অধীর প্রতীক্ষায়
ডাইনিংটেবিলে সাজিয়ে রাখে প্লেট ,
তবু আয়োজনের কোনও ত্রুটি নেই ।
প্রথমেই রোদ্দুর এসে
মাঠের সবুজ খাতায় খুলে বসে
সবুজ পাণ্ডুলিপি ।
রোদ ,মাটি ,জল ,বাতাস .....
একে-একে সকলেই শুনিয়ে যায় ----
নিবিড় সম্পর্কের কবিতা ।
মাঠের আবহসঙ্গীতে আকৃষ্ট পোকামাকড়
কেঁচোর কবিতা শুনেও
দাঁতে কাটে কবিতা ।
----কৃষকের সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায়
আরও সবুজ হয় সৃষ্টি সম্ভার ।
ধানখেতের কবিসম্মেলন ,
যখন ডাইনিংটেবিলে উঠে আসে
সান্ধ্য কবিতার আসর জমে ওঠে নন্দনে ।
চেয়ার
চেয়ারটা ইতিহাস খুলে বসেছে ।
চেয়ারের লিপি পাঠ করতেই
চেয়ারটা বুক চিরে দেখাল -----
মীরজাফরের হাসি ।
একে-একে চেয়ার থেকে উঠে এলেন
হিটলার ,মীরজাফর ,অশোক .....
হিটলারের রক্তচক্ষুতে ধূসর মরুভূমি
মীরজাফরের হাসিতে তাজা খুন
আর অশোকের চোখে-মুখে --
কলিঙ্গ যুদ্ধের আক্ষেপ ।
নিরুপায় চেয়ারটা ,
দায়ভার নিতে বলল আমায় ।
আমি আসমুদ্র হিমাচল তন্ন তন্ন করে খুঁজে এলাম ---
নেতাজীর চেয়ার ।
অবশেষে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন ,
আমার প্রিয় ইতিহাস শিক্ষক ।
স্যারের হাতে ইতিহাস বই
আর চিরপরিচিত কলম ।
কলমের নিবিড় টানে
চেয়ারে এসে বসলেন সর্বপল্লী রাঁধাকৃষ্ণন ,
চেয়ারের চোখে-মুখে সে কি আনন্দের বিচ্ছুরণ
চেয়ারের মুখে হাসি ফুটল ,
যে হাসি ছড়িয়ে পড়ল আসমুদ্র হিমাচল ।
চেয়ারটা ইতিহাস খুলে বসেছে ।
চেয়ারের লিপি পাঠ করতেই
চেয়ারটা বুক চিরে দেখাল -----
একে-একে চেয়ার থেকে উঠে এলেন
হিটলার ,মীরজাফর ,অশোক .....
হিটলারের রক্তচক্ষুতে ধূসর মরুভূমি
মীরজাফরের হাসিতে তাজা খুন
আর অশোকের চোখে-মুখে --
নিরুপায় চেয়ারটা ,
দায়ভার নিতে বলল আমায় ।
আমি আসমুদ্র হিমাচল তন্ন তন্ন করে খুঁজে এলাম ---
নেতাজীর চেয়ার ।
অবশেষে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন ,
আমার প্রিয় ইতিহাস শিক্ষক ।
স্যারের হাতে ইতিহাস বই
আর চিরপরিচিত কলম ।
কলমের নিবিড় টানে
চেয়ারে এসে বসলেন সর্বপল্লী রাঁধাকৃষ্ণন ,
চেয়ারের চোখে-মুখে সে কি আনন্দের বিচ্ছুরণ
চেয়ারের মুখে হাসি ফুটল ,
যে হাসি ছড়িয়ে পড়ল আসমুদ্র হিমাচল ।
আমার সাইকেল
অশোকচক্রের অভিমুখে গড়িয়ে চলে
আমার সাইকেলের চাকা ...
রাস্তার খানাখন্দ বা উঁচুনীচু
তির্যক চোখে তাকায়
সাইকেল গড়িয়ে চলে ।
আবার গর্তে পড়লে ক্যাঁচক্যাঁচ আওয়াজ করে
রাস্তার সাথে কথা বলে
সে যেন জানতে চায় ----
কোনপথে প্রগতির চওড়া রোদ ।
শুধু প্রগতির লক্ষ্যে
ও ধুলো মাখে ,কাদা ঘাঁটে
সমস্ত বাধাবিপত্তি নীরবে সহ্য করে
ও অশোকচক্রের ছায়ায় এসে দাঁড়াতে চায় ।
যাদের চাকার সংখা বেশি
যারা দাঁড়াতে পারে
তারা ওকে পিছনে ফেলে চলে যায় ।
আমার সাইকেলের চাকা লিক হলে
প্রগতি থমকে দাঁড়ায়
আমার বুকের দরজায় ।
ভারতের সব এক চাকা
অশোকচক্রের দিকে অসহায় তাকায় ।
অশোকচক্রের অভিমুখে গড়িয়ে চলে
আমার সাইকেলের চাকা ...
রাস্তার খানাখন্দ বা উঁচুনীচু
তির্যক চোখে তাকায়
সাইকেল গড়িয়ে চলে ।
আবার গর্তে পড়লে ক্যাঁচক্যাঁচ আওয়াজ করে
রাস্তার সাথে কথা বলে
সে যেন জানতে চায় ----
কোনপথে প্রগতির চওড়া রোদ ।
শুধু প্রগতির লক্ষ্যে
ও ধুলো মাখে ,কাদা ঘাঁটে
সমস্ত বাধাবিপত্তি নীরবে সহ্য করে
ও অশোকচক্রের ছায়ায় এসে দাঁড়াতে চায় ।
যাদের চাকার সংখা বেশি
যারা দাঁড়াতে পারে
তারা ওকে পিছনে ফেলে চলে যায় ।
আমার সাইকেলের চাকা লিক হলে
প্রগতি থমকে দাঁড়ায়
আমার বুকের দরজায় ।
ভারতের সব এক চাকা
অশোকচক্রের দিকে অসহায় তাকায় ।
No comments:
Post a Comment