বিষাদগুচ্ছ
১.
একটি চোখ, মনে হল যেন
পাঁজর ফাটিয়ে
সমুদ্র তুলে আনবে;
একটা হাত, ছুঁয়ে দিতেই
মনে হল, সমস্ত তন্ত্রী ছিঁড়ে
প্রচন্ড বেজে উঠবে
হারানো ভায়োলিন।
২.
হে বিষাদ বুক ভরে দাও
অন্ধকার-
কাঁটার প্রশাখা
তীক্ষ্ণ আলিঙ্গন।
আমি যে আলোর কথা ভাবি
ভাবি সৌরভ
তোমার আড়ালে
সে ঢাকা থাক।
বিষাদ
এসো
ভালবাসা দাও
প্রহার করো
এসো।
৩.
এখানে কে ছড়িয়ে গেল কাঁটা,
বাছতে বাছতে চোখ ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে।
কে আছ লন্ঠন বাড়িয়ে ধরো!
বুকভর্তি ফুটো থেকে
বেরিয়ে আসছে
ক্রমাগত
জরুরি অবিশ্বাস,
ছিদ্রান্বেষণ
অনিবার্য হয়ে উঠেছে..
কে আছ?
৪.
এখনই নিশ্চিত হয়োনা
এখনো জলের ভেতর
কিছুটা তরঙ্গ আছে
এখনো বাতাসে
লুকানো আছে ঝড়।
এখনই নিশ্চিত হয়োনা
সামনে বালিয়াড়ি ভেবে
কিছু পরে ভেসে উঠতে পারে
দিগন্ত।
শ্মশানে জিয়োনো আছে
কিছুটা জীবন,
এখনই নিশ্চিত হয়োনা।
মৃত্যুর হাত
অতটা দীর্ঘ নয়!
৫.
হেসে উঠতেই কালো কামিনীর ডাল
জ্যোৎস্না দিয়েছে ছুঁয়ে বন্য মাতাল
আবার হাওয়ার রাত হয়েছে পাগল
কামিনী দিয়েছে খুলে বুকের আগল
তারপর চুপিচুপি ঝরে গেছে তারা
সাদা কান্নায় ভেজে মাটির সাহারা।
No comments:
Post a Comment