খুঁজুন। ক্লিক করুন। টাইপ করুন।

8.7.18

গুচ্ছ কবিতা রাজর্ষি দে





শ্রাবণ ও বিষ

নদীর ধারে থাকে শ্রাবণ,
মাটির নীচে বিষের বাড়ি;
বর্ষা এলে ভিজতে থাকে
মাটির জ্বালা অহংকারী!

বৃষ্টি স্নাত বিষের বুকে
জল জমেছে দীঘির মতো,
বিষের নীলে বুক পেতেছে
শ্রাবণ ধারা অসংযত

শ্রাবণ পোড়ে
, বিষও জ্বলে
তপ্ত দুপুর গল্প বলে

প্রেম ও যুদ্ধ

এই জীবনে সন্ধি অনেক হল;
দিন ফুরালো, এবার বেবাক মাখব পথের ধুলো
বুকের মাঝে দুন্দুভি ঢাক বাজে-
চললে চাবুক, তৈরি আছি মরণ রণসাজে!

সঙ্গে শুধু তোমাকে চাই, পাব?
হাত না ধরো, স্পর্শটুকু আগুন থেকে নেব!
বন্য প্রেমে ভাঙ্গবে যে হাতকড়া,
চুম্বনে আজ তীব্র জ্বালা গ্রেনেড হয়ে ছোঁড়া

চুল্লি কাঠে সেঁকবো শরীর শেষে
বধ্যভূমি পুড়িয়ে দেবো জীবন ভালবেসে


মুক্তি পাইনা তাই

কাকের রাজ্যে এখনো চড়ুই খুঁজি
গাছ লিখে লিখে চাই দধীচির হাড়
বিরান শহরে এখনো মাইন পাতা
তোমাকে চাইছি হাজার বছর পর

সময় কেটেছে যেমন কাটার ছিল
পথ খুঁজছিল আমাকেই দিকে দিকে
ভয় পেয়ে পেয়ে সময়ের শেষ দানে
চিনে নেব ফের তোমাকে আচম্বিতে

তথাগত পথে অপরাধবোধ কত
জানাতে হয়না নির্বাণ পেয়ে গেলে
আমরা তুচ্ছ মুক্তি পাইনা তাই
বারবার ফিরে আসি কবিতার কোলে


ব্যথায় হাত রাখো

তুমি হাত রাখো
বিকেলের শেষের যে ব্যথা, সে ব্যথায় হাত রাখো
এখনো দিন স্পষ্ট নয়
ঘণ্টা নষ্ট হয়
মুহূর্তেরা অপচয়ে ঝরে যায়
এই বিকেলে তোমার প্রয়োজন আছে
প্রয়োজন আছে তোমাদের
এখনো পাখিরা আকাশকে পিঠে নিয়ে ওড়ে
তাই প্রিয়া মুখেদের কাছে হাত পাতি
দিকচক্রবাল ধরে গরমের হলকা উঠছে
আজ শীতলতার প্রয়োজন আছে
ভেজা মাটিতে হাত পেতে রাখি
অনুভবে খুঁজি কত নিচ থেকে
বীজের ধুকপুক শোনা যায়


অন্তঃসলিলা

ভোকাট্টা ভোকাট্টা ভোকাট্টা-
বলতে বলতে জাপটে ধরলে
হাতে পড়ে থাকে শুধু জল

কুল কুল করে যারা বয়ে চলে
তাদের যেহেতু নাম থাকে না
ধরে নেওয়া যাক খালি বালি ছিল হাতে

বালি কুচি লেগেছিল যে চোখে,
জল হয়ে ভাঙে যেই পাড়-
সেই কটাক্ষ পড়েনি বালক!
--


No comments:

Post a Comment

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"আমি বিদ্রোহী নহি, বীর নহি, বোধ করি নির্বোধও নহি। উদ্যত রাজদণ্ডপাতের দ্বারা দলিত হইয়া অকস্মাৎ অপঘাতমৃত্যুর ইচ্ছাও আমার নাই। ক...