খুঁজুন। ক্লিক করুন। টাইপ করুন।

8.7.18

দুটি কবিতা তন্ময় চট্টোপাধ্যায়




অস্তিত্ব 


খুব গভীর - বারবার বলেছিলে এই কথাটুকু। 
অন্ধকার বিলাসী আমি
সমানুপাতিক ভেবে এগিয়ে গেছি বহুদূর,
দেখি স্বচ্ছ আবরণ। 
ভেতর অন্ধকার ভেবে ঢুকে দেখি বহুছিদ্র
আর তা দিয়ে এসে পড়ছে আলো,
শ্যাওলা জড়ানো দেওয়াল চুঁইয়ে নামছে বিপথগামী জলধারা
খেলে বেড়াচ্ছে হাওয়া। 
গভীরত্বের সংজ্ঞা এমন হতে পারে না-
চেঁচিয়ে বলতে বলতে ফিরে আসতে থাকি ক্রমশ
এ শুধু ফিতে দিয়ে মাপার 
ঘনত্ব দিয়ে বোঝাবার নয়
নিজেই ধরা দেবার তার সমস্ত সত্যিটুকু নিয়ে। 

পুরনো চাঁদের আলো এসো পড়েছে লাগোয়া অঞ্চলে
আর তুমি চিৎকার করে বলছো জ্যোৎস্না একটাই !
কেন ভুলে যাও, আকাশ শুধু ধারণ করে যায়। 
সব শুনে ভীষণ রেগে কাছে এসে তীক্ষ্ণ আঙুল ঢুকিয়ে দিলে বুকে
দেখি সেই ক্ষত দিয়ে উপচে উঠছে ঝর্ণা আর তা আমার শরীরের ভিতর আছড়ে পড়ছে পাথর খন্ডে,
ক্ষীণ অথচ গমগম আওয়াজ
কোন আলো নেই 

শিরা ধমনীর সেই গভীরতা জুড়ে শুধুই তোমার অস্তিত্ব...


একা


গেঁথে আছে নোঙর নদীর বুকে
কামড়ে আছে শিকড় মাটির শরীর
গোধূলিতে রঙ ক্ষয়ে যেতে যেতে লেগে থাকে চাঁদ আকাশের গায়ে
মর্মর ধ্বনি কেবলই ফিরে আসে জঙ্গলের গাম্ভীর্য বুকে নিয়ে। 
প্রচন্ড ভারগুলো জুড়ে আছে পলকা সুতোয়
ফুল ফল নিয়ে নুয়ে পড়ে গাছ
আঁচলে লেগে আছে ছোঁয়া
ঠোঁট ধরে রাখ ঠোঁটেদের প্রাণ,
ক্ষণকাল। 
ধূলো ঝড়ে বিচ্ছিন্ন সব
খসে পড়ে টুপটাপ 
ফিরে যায় সব

পৃথিবী একটু জিরিয়ে নাও,
ডাল ভেঙে পথ করে তোমাকে যেতে হবে বহুদূর..

No comments:

Post a Comment

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"আমি বিদ্রোহী নহি, বীর নহি, বোধ করি নির্বোধও নহি। উদ্যত রাজদণ্ডপাতের দ্বারা দলিত হইয়া অকস্মাৎ অপঘাতমৃত্যুর ইচ্ছাও আমার নাই। ক...