পাঁচটি কবিতা
তেপান্তর
কখনো আমি হতে হতে
থেমে যেতে পারি
তুমি অর্ধতুমি
হয়ে থেকে যেতে পারো আজীবন
কর্তা আর কর্ম –
দুই রাজপুত্তুর
ক্রিয়াপদের
তেপান্তরে
একসঙ্গে ঘুমিয়ে
পড়ে
কোনো কোনো গোলাপ
স্বপ্নেই শুধু ফোটে
জেগে উঠলে ঝরে
যায়
দর্শক
অদৃশ্য হওয়ার
একটা জায়গা বহুদিন খুঁজেছি
খুঁজেছি প্রেমে
অপ্রেমে, তোমার শরীর-অশরীরে
মানুষের কোলাহল
ছেড়ে নীলিমায় ডানা মেলে
খুঁজেছি নিজের
মৃত্যুর কাছাকাছি মফস্বলে
সব জায়গায় একজন
না একজন দর্শক থাকেই
হয়তোবা আমিই তাকে
সৃষ্টি করি
কেউ কেউ নিজের
জন্যে
একজন দর্শকরূপী ঈশ্বরের
সৃষ্টি করে নেয়
অদৃশ্য হতে চাইলে
আগে দর্শককে অদৃশ্য করতে হয়
চিত্রচূর্ণ
পাখির ডাকে ডুবে
আছে নীলিমা
আর সেখানেও সেই
পাখি উড়ছে
মাছের মধ্যেও নদী
থাকে
কখনো পুকুর বা
সমুদ্দুর
সাপের স্মৃতিতে একটা
ব্যাঙ
গেয়ে উঠল গান
সাপ তাকেই আবার
খেতে চায়
যখন মুছে যায়
পশ্চিমদিক
সূর্যাস্ত হয়
তোমার মনে
অদৃশ্য
ইট কাঠ পাথর –
এদেরও
স্বচ্ছতা আছে –
অদৃশ্য
তার মধ্যে দিয়ে
অন্য কেউ আমাদের
দ্যাখে
গোলাপ
একটি শব্দের কতটা
শক্তি আছে ভাবো
একটি ফুলকে গোলাপ
নামে ডাকা যায়
কিন্তু সেই
গোলাপের মধ্যে আরও সব গোলাপ ফুটে ওঠে
নিজের
দীর্ঘশ্বাসগুলি জড়ো করে গোলাপায়িত হয়
তুমিও নিজের
মধ্যে অসংখ্য নিজেকে ফুটে উঠতে দাও
কিন্তু
অন্তর্দৃষ্টিপথেও তারা অধরা
আড়ালের এইসব
আত্মপ্রকাশের কাউকে
তখনই দেখতে পাবে
যখন ঝরে পড়ে
No comments:
Post a Comment